পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি মৌসুমে বোরোতে সর্বোচ্চ ফলন হওয়ায় চাল উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল। এ উৎপাদন স্মরণকালে সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ। তার দাবি, আগে আউশ, আমন ও বোরো এই তিন মৌসুমে ২ কোটি মেট্রিক টনের মতো চাল উৎপাদন হতো। এখন ইনশাআল্লাহ এক মৌসুমেই দুই কোটি মেট্রিক টনের অধিক চাল উৎপাদন হলো। এতে করোনাকালেও খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।
বোরো মৌসুমের শুরুতে শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে কর্মবীর কৃষকরা মাঠে মাঠে বোরো ধানের চারা রোপন করেন। বরাবরই কর্মবীর কৃষকরা প্রাণশক্তিতে উদ্বেল। মাটি ওলোট-পালট করে সোনা ফলিয়ে থাকেন। ঘুরিয়ে থাকেন কৃষিনির্ভর অর্থনীতির চাকা। তৃণমূল অর্থনীতির কাঠামো মজবুতের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও তাদের অবদান কম নয়। বিশেষ করে ভয়াবহ করোনাভাইরাস মোকাবেলা করে মাঠে মাঠে যে পরিশ্রম করেছেন কৃষকরা তার ফল পেয়েছেন তারা।
সারাদেশের কোথাও বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়নি। আবহাওয়া ছিল অনুকূলে। তাছাড়া কৃষকদের সমস্যা সমাধান, সার্বক্ষণিক তদারকি সরকারি প্রণোদনা প্রদান, ভালো বীজ সরবরাহসহ বিভিন্ন কারণে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। সূত্র জানায়, এবার সারাদেশে ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। সেচনির্ভর বোরো ধান আবাদের ক্ষেত্রে এবার কোনরূপ অসুবিধা হয়নি। স্বাচ্ছন্দ্য অনায়াস উদ্দীপনা ও উদ্যম নিয়ে বোরো চাষিরা মাঠে মাঠে আবাদ করার সুযোগ পেয়েছেন। সেচনির্ভর বোরো ধান আবাদের ক্ষেত্রে কোনরূপ অসুবিধা হয়নি। স্বাচ্ছন্দ্য অনায়াস উদ্দীপনা ও উদ্যম নিয়ে মাঠে মাঠে বোরো চাষিরা রীতিমতো বিপ্লব ঘটান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশে প্রায় ১৪ লাখ ডিজেলচালিত ও প্রায় আড়াই লাখ বিদ্যুৎচালিত গভীর ও অগভীর নলকূপ ব্যবহার হয়। ধানের দাম গত মৌসুমে ভালো পাওয়ায় কৃষকরা ধান আবাদে দারুণভাবে ঝুকে পড়েন। এখন বাজারে পুরাদমে নতুন ধান বেচাকেনা হচ্ছে। দামও পাচ্ছেন ভালো। মণপ্রতি গড়ে এক হাজার টাকা। তাতে তাদের লাভই হচ্ছে। গতকাল ধানের পাইকারি বাজার যশোরের রূপদিয়ায় গিয়ে দেখা গেছে, ধানের বাজারে উপচেপড়া ভিড়। ধান বিক্রিতে ব্যস্ত কৃষকরা। তাদের চোখেমুখে আশার ঝিলিক। কৃষক যশোরের ডাকাতিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান জানালেন, কয়েকবছর ধানের দাম না পাওয়ায় আবাদে অনাগ্রহী হন কৃষকরা। গত মৌসুম থেকে আবার ধান আবাদে প্রচন্ড আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।