পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পর এবার উত্তর জনপদের রংপুর বিভাগের তিন স্থানে পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও তদসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ শীর্ষক ২৫৮ কোটি ১১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় ১০০ কিলোমিটার গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক এবং তিনটি ডিস্ট্রিক্ট রেগুলেটিং স্টেশন স্থাপন করে শিল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র খাতে ১০২টি সংযোগের ১৬৫ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে প্রস্তাবটি গত বছরের ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় পাঠানো হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড জিজিসিএল, পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলার আওতাধীন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণ কার্যক্রম কিছু এলাকায় চলছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর সফরকালে পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া গেলে রংপুরে তথা দেশের উত্তর জনপদে গ্যাস লাইন সম্প্রসারণের প্রতিশ্রæতি দেন। সেই প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। রংপুর এবং নীলফামারী ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়া সত্তে¡ও এ এলাকার জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক গ্যাস প্রাপ্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বর্তমানে জ্বালানি হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ১৭৬ এমএমসিএফডি যা মোট প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের ৫.৬৬ শতাংশ। মোট জনসংখ্যা বিবেচনায় গ্যাস ব্যবহারের এই বৈষম্য দূরীকরণ এবং এলাকার শিল্পের উন্নয়নের জন্য রংপুর ও নীলফামারী জেলায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা প্রয়োজন।
বর্তমানে রংপুরে শিল্প-কারখানা আছে ৫১টি, উত্তরা ইপিজেডে কারখানা আছে ২৭টি। তাছাড়া নীলফামারীতে নির্মাণাধীন সাড়ে ৩০০ একরের ইকোনমিক জোনসহ সম্ভাব্য শিল্প-কারখানার সংখ্যাও হিসাবে নেয়া হয়েছে। রেল কারখানা এলাকায় প্রথম গ্যাস চালু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।