পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শত কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ এবং পাচার মামলায় ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লি:’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান তালুকদার ওরফে উমেদার মান্নানের জামিন বাতিল করেছেন সুপ্রিমকোর্ট। এর আগে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বাতিল করে এ আদেশ দেনÑ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ। জামিন বাতিল আদেশের পাশাপাশি ২ সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের জামিন স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ মে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান তালুকদার ও চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ১৩৫ টাকা ৫৮ পয়সা অবৈধ সম্পদ অর্জন, অপরাধলব্ধ আয় স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট ১ হাজার শেয়ারের মধ্যে আবদুল মান্নান তালুকদারের ৮৫০টি, চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের ৫০টি, তার মা সালেহা বেগম ও স্ত্রী জেসমিন নাহার ৫০টি করে শেয়ারের মালিক। প্রকৃতপক্ষে নিউ বসুন্ধরার চেয়ারম্যান হিসেবে মো. আনিসুর রহমানের নাম থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মান্নান তালুকদার।
২০১০ সালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (এমএলএসএস) আবদুল মান্নান তালুকদার ওরফে উমেদার মান্নান স্বেচ্ছায় অবসর নেন। পরে তিনি ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামে একটি জমি কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার পর তিনি গ্রাহকদের প্রতি লাখে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার প্রলোভনে বাগেরহাট, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি জেলার অন্তত ২০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে অন্তত ২ শত ৯৯ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন, যা ব্যাংকিং আইনের পরিপন্থী।
পরে গত কয়েক বছরে বাগেরহাটের ১৬টি ব্যাংকের ৩০টি (অ্যাকাউন্ট) হিসাবে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ১ শত ৩৫ টাকা ৫৮ পয়সা জমা করেন। গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি ব্যাংক থেকে তুলে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠে।
এ মামলায় গত বছরের শেষ দিকে হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তারা কারামুক্ত হন। এর মধ্যে দুদক ওই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ২৫ এপ্রিল আনিসুর রহমানকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন আপিল বিভাগ। সে অনুসারে তিনি আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গতকাল আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আসিফ হোসেন। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।