পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামানকে বিক্ষুব্ধ জনতার কাদা ছুড়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভেঙে যাওয়া একটি বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীর এমন রোষানলে পড়েন তিনি।
ফেসবুকে ভাইরাল দুই মিনিট একান্ন সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এমপির ট্রলারকে লক্ষ্য করে কাদা ছোড়া হচ্ছে। তবে কাদা ছুড়ে মারার ঘটনাটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন এমপি। যদিও চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। মিনিটি পাঁচেক কাঁদা ছোড়াছুড়ির এক পর্যায়ে ট্রলার নিয়ে সরে পড়েন সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু।
গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় কয়রা থানার ওসিসহ আরো কয়েকজন সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই মহারাজপুর ও পাশের বাগালী ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে সাগরের নোনা পানিতে। গত বুধবার ভেঙে যাওয়া ওই বাঁধ এখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে নিয়মিত জোয়ার-ভাটা আসা-যাওয়া করছে গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে। ঘূর্ণিঝড় আইলার দীর্ঘ এক যুগ পর আবার এমন দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাঁধ মেরামতে স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েক হাজার মানুষ কাজ করছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে একটি ট্রলার নিয়ে খুলনা-৬ আসনের (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান উপস্থিত হলে তাঁকে দেখে লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা কাদা ছুড়ে মারতে থাকে ট্রলারের দিকে। বৃষ্টির মতো কাদা ছোড়ার একপর্যায়ে ট্রলারটি পিছু হটে নদীর অন্য পারে চলে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর তিনি আবার ওই ভাঙা বাঁধের কাছে যান।
কাদা ছোড়ার আরেকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বাঁধের কাছে শুধু ট্রলার ভিড়েছে, তখন সংসদ সদস্যকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো কাদা ছোড়া হচ্ছে। টিকতে না পেরে ট্রলার ফিরে যাচ্ছে।
পরে স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করে সংসদ সদস্য সেখানে যান। সংসদ সদস্য তাঁর বক্তব্যে স্থায়ী বাঁধ না করতে পারায় নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন। তিনি জনতার সঙ্গে কাজও করেন। কিন্তু তাঁকে কাজ করতে দেখে অনেক মানুষ কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে যায়।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে শওকত হোসাইন লিখেছেন, ‘‘একজন সংসদ সদস্য হবে জনগণের বন্ধু, বিপদে আপদে কাছের মানুষ আর সেখানে এমপিকে উদ্দেশ্যে করে কাদা ছোড়া হচ্ছে এর চাইতে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে?? নিজের অযোগ্যতা মানুষকে বোঝানোর আগে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিৎ।’’
মোঃ শামিমের মন্তব্য, ‘‘এমপি সাহেব যেমন কাজ করেছে তার প্রাপ্য সম্মান এমপিকে বুঝিয়ে দিয়েছে,,, যে যেমন কর্ম করবে সে তেমন ফল পাবে,,,এমপি সাহেব যে কাজগুলো তাদের জন্য করেছে,,,তা কাঁদা ছুড়া ছুড়ি মাধ্যমে জনগণ ফুটিয়ে তুলেছে,,,,ধন্যবাদ জনগণকে,, এমপি সাহেবের প্রাপ্য সম্মান বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য,,এবং শুভেচ্ছা এমপি সাহেবকে সে তার প্রাপ্য সম্মান বুঝে নেওয়ার জন্য,,।’’
মাহদী হাসান সীন লিখেছেন, ‘‘এমপি সাহেব সাথে করে ৫০ টি এক্সক্যাভেটর নিয়ে যেতেন। লোকজন নিজেরা শ্রম দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যেই বিশাল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে পারতেন। জয় বাংলার স্লোগান কয়রা থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত পৌঁছে যেতো। কিন্তু আমরা দেখলাম উনি তার ব্যতিক্রম করেছেন এবং জনগণও তাকে সাদরে প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।