Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩৫ ঘণ্টা পর মামলা গ্রেফতার হয়নি কেউ

চিকিৎসক সাবিরা হত্যাকান্ড

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩৫ ঘণ্টা পর কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মামলাটি করেন নিহতের মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল। মামলা নম্বর ১/৯৪। তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বা খুনীদের শনাক্ত করতে পারেনি।

রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, মামলার আসামি অজ্ঞাত। নিহতের পরিবার বিলম্বে থানায় আসায় মামলা নথিভুক্ত হতে বিলম্ব হলো। তবে ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ তদন্ত করছে। পাশাপাশি ডিবি পুলিশও তদন্ত করছে।

রমনা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, চিকিৎসক সাবিরা হত্যার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে হেফাজতে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন, সাবলেটে থাকা শিক্ষার্থী, তার এক বন্ধু, গৃহপরিচারিকা ও বাড়ির দারোয়ান রমজান। ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরে আরও ৬/৭ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ। সাবিরা কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেনের বাড়িটির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি ফ্ল্যাটের দুটি রুম এক তরুণীকে সাবলেট হিসেবে ভাড়া দেন।

সাবিরার মামাতো ভাই মো. রেজাউল হাসান বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকান্ড। বিষয়টিকে অন্যদিকে ডাইভার্ট (সরাতে) করতে আগুনের ঘটনা সাজানো হয়েছে। আমরা এখনও কাউকে সন্দেহ করছি না। তদন্তের পর পুলিশ বিস্তারিত বলতে পারবে।

গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের খবরে ওই বাসায় গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধোঁয়া দেখতে পান। নিহত চিকিৎসকের শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ ছিল বলে জানান তারা। লাশের উদ্ধারের পর পিঠে দুটি ও গলায় একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। খবর পেয়ে সেদিনই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করে। ক্রাইম সিনের কর্মকর্তারা জানায়, সাবিরাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা (ব্রুটালি কিলড) করা হয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়ায়নি। তবে, সাবিরার শরীরের কিছু অংশ এতে দগ্ধ হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাবিরা হত্যাকান্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ