পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্জিকার পাতায় গ্রীষ্ম ঋতু শেষের দিকে। বর্ষাকাল সমাগত। চলতি জুন মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই টেকনাফ-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষার আবহ) বিস্তার লাভ করতে পারে। জুন মাসে (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়) দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। জুনে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় চলতি জুন মাসের উক্ত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরও জানা গেছে, চলতি জুন মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি থেকে প্রবল আকারে বজ্রপাত-বজ্রঝড় সংঘটিত হতে পারে। দেশের অন্যত্র ৩ থেকে ৪ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রপাত-বজ্রঝড় পারে। এ মাসে দেশে একটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সে.) থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) বয়ে যেতে পারে। জুনে বঙ্গোপসাগরে দু’টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপ কিংবা গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগের বৃষ্টিপাতের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মে মাস পর্যন্ত সারাদেশে টানা ছয় মাস যাবত খরা-অনাবৃষ্টি পরিস্থিতি বিরাজ করে। গেল মে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে সার্বিকভাবে গড়ে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম হারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবার বিভাগওয়ারি হিসাবে বৃষ্টিপাতে তারতম্য বা অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে যথাক্রমে প্রায় ৫৭, ৫১ ও ৪৩ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের তুলনায় গড়ে ৭৯ শতাংশ কম, মার্চ মাসে ৭৯ দশমিক ৬ শতাংশ কম, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ৯৯ শতাংশই কম, গত জানুয়ারি মাসে ৯৭.৭ ভাগ কম এবং ডিসেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে সারাদেশে গড়ে ৯৮.৮ শতাংশই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই হিসাবে দেশে টানা ছয় মাসের খরা-অনাবৃষ্টি পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হার বা পরিমানের চেয়ে গড়ে ৮০ শতাংশই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
অবিরাম খরতাপ, বিশুষ্ক-রুক্ষ আবহাওয়ার সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষত বোরো ফসল হিটশকের শিকার এবং আবাদ-উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেচের খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খায় কৃষক। পর্যাপ্ত পানির সঙ্কটে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফসল, সবজির উৎপাদন মার খায়। এ বছর আমের রাজধানী চাপাইনবাবগঞ্জ-নাটোর-রাজশাহী ছাড়াও সাতক্ষীরা, রংপুর-দিনাজপুরসহ আম উৎপাদনকারী প্রধান জেলাগুলোতে অবিরাম প্রচণ্ড গরম, অনাবৃষ্টিতে আম আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে। তীব্র খরা ও তাপদাহের বিরূপ প্রভাব পড়ে পরিবেশ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য, জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে।
গত মে মাসে দেশে দিনের সর্বোচ্চ ও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে যথাক্রমে ১.১ এবং ০.৩ ডিগ্রি সে. ঊর্ধ্বেই ছিল। এরআগের মাসগুলোতেও অধিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত ২৩ মে খুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ৩৯.৮ ডিগ্রি সে.। তবে বিগত ২৫ এপ্রিল যশোরে ৪১.২ এবং রাজধানী ঢাকায় ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে লাফ দেয় পারদ। যা গেল সাত বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।