পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে স্ট্রাটেজিক প্লান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮-২০৩০ সফল বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি স্ট্রাটেজিক প্লানের উপাদানগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসাথে দেশের পাবলিক বিশ্বববিদ্যালয়কে এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ বন্ধে ইউজিসি’র নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।
স্ট্রাটেজিক প্লান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮-২০৩০ বাস্তবায়ন মনিটরিং করার লক্ষ্যে ইউজিসি পর্যায়ে গঠিত কমিটির ২য় ভার্চুয়াল সভায় বুধবার তিনি এ কথা বলেন।
কমিটির আহ্বায়ক এবং ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসি’র সাবেক সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন। সভায় কমিশনের এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা এবং উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার পরামর্শ দেন।
সভায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ বন্ধে ইউজিসি’র নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি। ভিসিদের কেউ কেউ ইউজিসি’র নির্দেশনা উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ নিজস্ব এখতিয়ারে এডহক ও মাস্টার রোলে জনবল নিয়োগ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিতর্কের মুখে ফেলছেন।
সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিবৃন্দ এবং সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, অস্বচ্ছ ও অনৈতিক নিয়োগ এবং আর্থিক বিধিমালা লঙ্ঘিত হওয়ার ফলে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের সুনাম ভূলন্ঠিত হচ্ছে। এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভিসিরা বিতর্কিত হচ্ছেন। অন্যদিকে যেসব ভিসি এধরণের অনৈতিক নিয়োগ দিতে চান না তাদের ওপর অহেতুক চাপ তৈরি হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় অদক্ষ লোক নিয়োগ পাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের সংস্কৃতি চালু হচ্ছে।
ভিসিরা আরও বলেন, চাকরিতে প্রবেশে নাগরিকের সমানাধিকার সংবিধান স্বীকৃত। এডহক নিয়োগে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ অধিকার সুরক্ষায় সকল ধরণের অনৈতিক নিয়োগ বন্ধ করা প্রয়োজন। এছাড়া, ভিসিরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ইউজিসি প্রণীত শিক্ষক নিয়োগ-পদোন্নয়নের নীতিমালা যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর দিল আফরোজা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যদি কেউ ইউজিসি’র নির্দেশনা অমান্য করে নিয়োগ দেয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগে ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সভায় একটি ফ্লাগশীপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয়তার নিরিখে স্কলারশিপ চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখন-শিক্ষণ কেন্দ্রকে আইকিউএসি’র অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।