পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এলএসডি মাদকসহ গ্রেফতারকৃত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীরা হলো-সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), মনওয়ার আকিব আনান (২০), নাজমুস সাকিব (২০), বিএম সিরাজুস সালেকীন তপু (২৪) ও নাজমুল ইসলাম (২৪)। এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই বদরুল আল আমিন তাদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আদেশ করেন। গত ৩০ মে ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তাদের কারও প্যান্টের পকেটে আবার কারও ঘরের আলমারিতে এলএসডি পাওয়া যায়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অনলাইন ও অফলাইনে যোগাযোগ করে এলএসডি মিশ্রিত প্রিন্টের ব্লট পেপার ও অবৈধ নেশাজাতীয় মিথাইল অ্যাম্ফিটামিনযুক্ত মাদকদ্রব্য কথিত আইস এবং গাঁজা বেচাকেনা করে আসছে। আসামিরা তাদের পলাতক অন্যান্য অজ্ঞাতনামা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন উপায়ে দেশের বাইরে থেকে এসব অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিক্রি করতো। প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আসামিরা সংঘবদ্ধ মাদক বিক্রেতা ও সরবরাহকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা অভিনব কৌশলে দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক দ্রব্য সংগ্রহ করে কৌশলে ঢাকায় এনে শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা যায়।
উচ্চবিত্ত-শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে বাজার তৈরির চেষ্টাঃ স¤প্রতি লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাই-ইথ্যালামাইডের (এলএসডি) নতুন এই মাদকে আবির্ভাব ঘটে। গত রোববার ৩০ মে রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত এমন একটি গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই হাজার মাইক্রোগ্রাম এলএসডি, আইস ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২৬ মে বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিবি রমনা বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ বøট এলএসডি উদ্ধার করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছে, বাংলাদেশে এলএসডি মাদকের বাজার তৈরি করতে অন্তত ১৫টি গ্রুপ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপ খুলে এই মাদক বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুরুতে এসব গ্রুপের সদস্যরা নিজেরা সেবনের পাশাপাশি বন্ধুদেরকেও এই মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করছে। নতুন এই মাদক এলএসডি বাংলাদেশে খুব বেশি পরিচিত নয়। তবে, এই মাদকটি অধিক দামি হওয়ায় এখনও উচ্চবিত্তদের নাগালে রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে, এলএসডি দামি মাদক হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কলেজ পড়ুয়াদের টার্গেট করে এর বাজার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গ্রুপগুলোর সদস্যরা। তদন্তেই একটি ফেসবুক গ্রুপ পর্যালোচনা করে সেখানে প্রায় এক হাজারের মত সদস্য সংখ্যা থাকতে দেখা গেছে।
ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের ডিসি আ. আহাদ বলেন, আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, এই মাদকের বাজার তৈরি করতে ১৪-১৫টি গ্রুপ দেশে সক্রিয় রয়েছে। বাকি গ্রুপগুলোর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আশা করি, সব গ্রুপগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।