পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সব ধরণের মামলা প্রত্যাহার, সাংবাদিক হেনস্তাকারী আমলা-পুলিশের শাস্তি, বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণকারী কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও উপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেসি এ্যাক্ট বাতিলের দাবিতে গতকাল সোমবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল পূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আমলা-পুলিশের উপর নির্ভরশীল সরকার জনগণের যে কোন প্রতিবাদকে ভয় পায়। সামান্য কার্টুন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনামূলক লেখা কোন কিছুই সহ্য করতে পারে না। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমন করতেই সরকার কালা কানুন প্রণয়ন ও ব্যবহার করছে। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর আমলা প্রশাসন পুলিশকে ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে আমলা ও পুলিশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়।
বাম নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাংবাদিকরা দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী আমলার প্রতিহিংসার শিকার। রোজিনা ইসলামকে বাতিল আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানের ৩য় ভাগের মৌলিক অধিকারের ২৬ ধারার সাথে অফিসিয়াল সিক্রেসি এ্যাক্ট সাংঘর্ষিক। ফলে যেদিন থেকে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়েছে সেদিন থেকেই সংবিধানের ৩য় ভাগের মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক সকল আইন বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু স্বাধীনতার অব্যবহতি পরেই ২য় সংশোধনীর মাধ্যমে কালাকানুন তৈরির রাস্তা খুলে দেয় তৎকালীন শেখ মুজিব সরকার। যার পথ বেয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ একের পর এক কালাকানুন জারি হতে থাকে। সর্বশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক কুখ্যাত কালো আইন জারি করে নাগরিকের বাক ব্যক্তি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। যার বলি হচ্ছে সাংবাদিক, শিক্ষক, লেখক, কাটুনিস্টসহ মুক্ত চিন্তার মানুষেরা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র মানস নন্দী, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক বাচ্চু ভুইয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।