পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা রাখার বিশেষ তহবিলের দাবি করেছেন দোকানমালিক সমিতির নেতারা। তারা বলেছেন, এ তহবিল থেকে অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৫ লাখ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৩০-৩৫ লাখ টাকা করে ঋণ পেলে আবার তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
গতকাল ‘ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা ঋণ বরাদ্দ, ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের আলাদা সেল গঠন এবং পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আরোপিত সকল ভ্যাট স্থগিত করে উৎসে আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। এসময় সমিতির মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূইয়াসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা শুরুর দিকে গত বছর সাধারণ ছুটিতে দীর্ঘ সময় দোকানপাট বন্ধ ছিল। তাতে পয়লা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতরকেন্দ্রিক ব্যবসা মার খায়। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে চলতি বছরও ঈদের ব্যবসার প্রথম ১১ দিন দোকানপাট বন্ধ ছিল। পরে কিছু ব্যবসা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে তাই আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা রাখার দাবি করেছেন দোকানমালিক সমিতির নেতারা। তারা বলছেন, তহবিল থেকে অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৫ লাখ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৩০-৩৫ লাখ টাকা করে ঋণ পেলে আবার তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। এখন প্রত্যেকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। এটি জামানত হিসেবে রেখে ঋণ দেওয়া যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া দেশের বাইরে যাওয়া যায় না। অন্য কোনো কাজও করা যায় না। হেলাল উদ্দিন বলেন, করোনাকালে তিনটি ঈদ, দুটি পয়লা বৈশাখ ও একটি দুর্গাপূজা উৎসবে স্বাভাবিক ব্যবসা করতে না পেরে ব্যবসায়ীদের ৬০ শতাংশ পুঁজি নষ্ট হয়েছে। সে কারণে আমরা বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছি। করোনাকালে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে অধিকাংশ দোকানদার কোনো প্রকার ঋণ পাননি উল্লেখ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান বা এসএমইএ থেকে এম শব্দটি আলাদা করে দেয়া দরকার। কারণ, মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো প্রণোদনা বা ঋণসহায়তার বড় অংশ নিয়ে নিচ্ছে বড়রা (কোম্পানি)। তাই ভবিষ্যতে ছোটদের সহায়তা নিশ্চিত করতে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আলাদাভাবে বিবেচনা করতে বাজেটে নির্দেশনা দরকার।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি গবেষণার তথ্য দিয়ে দোকানমালিক সমিতির নেতারা জানান, ১৫ বা তার কম কর্মী নিয়ে যাঁরা ব্যবসা পরিচালনা করেন, তাঁদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে ধরে নেয়া যায়। এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি। গড়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চারজন করে কর্মী থাকলে সংখ্যাটি হবে ২ কোটি ১৪ লাখ।
আগামী বাজেটে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে তা উৎপাদন বা আমদানি পর্যায়ে সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছে দোকানমালিক সমিতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।