পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে একটি রেস্টুরেন্টে গ্রাহকের প্রাণ বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশি তরুণ রিফাত শেখ। রেস্টুরেন্টে এক ব্যক্তির গলায় খাবার আটকে গেলে বিশেষ কৌশলের মাধ্যমে তা বের করেন রিফাত শেখ। ঘটনার পর বিবিসি, ডেইলি মেইলসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রতিবেদন হয়েছে তাকে নিয়ে।
ওয়েলসে ভারতীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট বেঙ্গর তন্দুরিতে কাজ করেন ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি রিফাত শেখ। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর থেকেই এখানে কাজ করেন তিনি। গত ২৩ মে রেস্টুরেন্টে খেতে এসে গলায় খাবার আটকে যায় ব্রিটিশ তরুণ জ্যাক স্ট্রেলিংয়ের। শ্বাসনালীতে খাবার চলে যাওয়ায় দম আটকে আসে তার। পরে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন রিফাত। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, জ্যাককে পিছন দিক থেকে বিশেষ কৌশলে দুই হাত দিয়ে পেটে চাপ দিচ্ছেন রিফাত। টানা আটবারের চেষ্টায় মুক্তি পান জ্যাক। সঙ্গে সঙ্গে রেস্টুরেন্টে উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায় রিফাতকে।
রিফাত জানান, বিষয়টি বুঝতে আমার দুই থেকে তিন সেকেন্ড লেগেছে। টেবিল থেকে তাকে টেনে তার পাকস্থলীতে চাপ দেই। কয়েকবারের চেষ্টায় শ্বাসনালী থেকে চিকেনটি বেরিয়ে আসে। রিফাত জ্যাককে বাঁচাতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তার নাম হাইমনি। শ্বাসনালীতে খাবার আটকে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে এই পদ্ধতি ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে বাঁচানো কঠিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থায় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে না পারলে ৮ মিনিটেই মানুষ মারা যায়। রিফাত জানিয়েছেন, কৌশলটি তিনি শিখেছেন তার বাবার কাছ থেকে। যিনি ছোট বেলায় ঠিক একইভাবে বাঁচিয়েছেন রিফাতকে। বিষয়টি বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন রিফাত। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাকে নিয়ে। আখ্যা দেয়া হয় ‘হিরো’ হিসেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।