পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে জনপ্রিয় দুই মোবাইল গেইম ফ্রি ফায়ার ও পাবজি নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্থাপিত এই দাবিতে সাড়া দেয়ায় সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছে নেটিজেনরা।
সম্প্রতি শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করেছে। দুই মন্ত্রণালয় থেকে এমন সুপারিশ পেয়ে এ নিয়ে আলোচনা করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
তারা জানিয়েছে, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেম দুটি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এছাড়াও ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমটি খেলা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রাজন সরকার ফেইসবুকে লিখেন, ‘যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব, বন্ধ করে দেওয়া উচিত। নইলে যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব নয়।’
এটাকে সময়ের দাবী মনে করেন এমডি আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি লিখেন, ‘এটা আরও অনেক আগেই বন্ধ করা দরকার ছিলো।’
গেইম ফ্রি ফায়ার ও পাবজির পাশাপাশি টিকটক এবং লাইকি বন্ধের দাবি জানিয়ে বুলবুল কবির লিখেন, ‘এই একই সাথে টিকটক ও লাইকি বন্ধ করা উচিত। কারণ এগুলো তরুণ সমাজকে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
ভিপিএনের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার অনুরোধ জানিয়ে মুহাম্মদ ওলী উল্লাহ লিখেন, ‘এটা একটা উত্তম পরিকল্পনা। কিন্তু ভিপিএন দিয়ে যেনো না চালানো যায় সেই বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়ে শাহাদাৎ হোসেন খান লিখেন, ‘স্কুল-কলেজ বন্ধ করে গেইম খুলে দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের দোষ কোথায়? ওদের খেলার মাঠগুলো দখল হয়ে গেছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা। এবার এসব গেম বন্ধ করে অন্তত: স্কুল-কলেজ খুলে দিন। শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস করার অধিকার কারো নেই।’
একই দাবি জানিয়ে শিশু-কিশোরদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মামুন রশিদ লিখেন, ‘দেশে খেলাধুলার মাঠ নেই,বিনোদনের সঠিক ব্যবস্থা নেই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তার সাথে এই গেমস বন্ধ করে দিলে মানুষ কি করে সময় পার করবে? এতে করে মানুষের মনে আরও হতাশা বৃদ্ধি পাবে ছেলেমেয়েরা মাদক সেবন করা শুরু করে দিবে। তার চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন, তাহলে ছেলে মেয়েরা পড়াশোনার মধ্যে থাকলে এমনিতেই গেমস খেলা কমে যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।