পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত। গত এক যুগে উপকূলীয় এলাকায় বুলবুল, আইলা, মহাসেন, ফণী, আম্পান আঘাত হেনেছে। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত না হানলেও জোয়ার ও জলোচ্ছাসে বাঁধ ভেঙে উপকূল পানিতে তলিয়ে দিয়েছে। তছনছ হয়েছে বঙ্গোপসাগর পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার লাখ লাখ মানুষের জীবন। ওইসব বিপন্ন মানুষের জীবন সব সময় থাকে হুমকির মুখে। গত দেড় দশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা রুপ নিচ্ছে। গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রবাবে উপকূলীয় ১৭০ জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৭টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
সেই পাকিস্তান আমলে নির্মিত জরাজীর্ণ এসব বেড়িবাঁধ সাগরপাড়ের মানুষের জানমাল রক্ষায় কোনো কাজেই আসছে না। ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত না করলেও তার প্রভাবে উপকূলের এলাকার লাখ লাখ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে কালো অধ্যায়। দেশের উপকূলীয় এলাকার ৮ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলায় অন্তত চার হাজার ৯০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয় সেই ষাটের দশকে। এসব বাঁধ ছিল ১৪ ফুট উঁচু ও ১৪ ফুট চওড়া। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বাঁধের অর্ধেকেই এখন বিলীন।
এদিকে খুলনা-বাঘেরহাট ও সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় হাজার কিলোমিটার এবং নদীতে বিলীন হয়েছে ১৫০ কিলোমিটার। দুর্যোগের গতি-প্রকৃতি এবং ভয়াবহতা অনুধাবন করে উপকূলে জীবন ও সম্পদ রক্ষাকারী বাঁধগুলো নির্মাণ করতে হবে টেকসই মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের আধুনিক পরিকল্পনা মাঠ পর্যায়ে তেমন বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভোলায় ২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার মাছ এবং ১০ কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মাঠে ছিল এবং এখনো আছে। উপকূলীয় যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সংস্কারে কাজ চলছে। উপকূলে জীবন ও সম্পদ রক্ষাকারী টেকসই বাঁধগুলো নির্মাণে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ জন্য এখনো কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদশন করা হবে।
এদিকে উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অবস্থান কর্মসূচি। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালীতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর। এ সময় অবস্থানকারীরা আমরা ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই’, ‘একবারই মরব, বারবার নয়’, ‘জলবায়ু তহবিল কাদের জন্য, জবাব চাই’, ‘উপকূলের কান্না, শুনতে কি পান না’, ‘নিরাপদে বাঁচা, নয় কি আমার অধিকার’, ‘বাস্তুভিটা ছেড়ে, ভাসানচরে যাব না’ ইত্যাদি গ্লোগান দিতে থাকেন। একই সময়ে প্রতীকী লাশ হয়ে প্রতিবাদ জানান উপকূলের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ, ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মাহি ও সালাউদ্দিন জাফরী।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য শেখ মো. আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, ৬০ বছর আগে তৈরি বেড়িবাঁধ দিয়ে উপকূলীয় এলাকা রক্ষা করা এখন আর সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি নতুন করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। জাতীয় সংসদে দাবি উত্থাপন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েও চিঠি দিয়েছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেজিং করে উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোর গভীরতা বাড়ানো প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ কে এম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন,ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় ১৭০ জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৭টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গেছে। তবে এখনো সঠিক হিসাব হয়নি, পরে বলা যাবে। এসব এলাকায় বাঁধ উচুকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের উপকূলীয় এলাকার ৮ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালে আইলার পর উপকূল এলাকার এসব বাঁধের অনেক জায়গা ভেঙে গিয়েছিল। অনেক জায়গা বানের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল। কিন্তু তার বড় অংশ এখনো যথাযথভাবে মেরামত করা হয়নি। এতে করে গোটা উপকূলীয় এলাকা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
আম্পানে উপকূলীয় জেলার ১৫২টি স্থানে ৫০ দশমিক ৪৭৮ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে বিলীন হয়েছে। ৫৮৩টি স্থানে ২০৯ দশমিক ৬৭৮ কিলোমিটার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৮টি নদীর তীর ভাঙনে ১৩ দশমিক ২০৮ কিলোমিটার বিলীন হয়েছে এবং ৩৭টি নদীর তীর সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ক্ষতি হয়েছে ১২ দশমিক ৮০০ কিলোটার। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নিম্নচাপ, লঘুচাপ, অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে গ্রামে পানি প্রবেশ ঠেকাতে পারছে না বাঁধগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বলা হয়, এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় নদীগুলোতে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেড়ে যায়। ফলে অনেক এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। অসংখ্য স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবণ পানি ঢুকেছে।
পাউবোর খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, ইয়াসের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় মোট ২১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বিলিন হয়েছে ১৫০ কিলোমিটার।
পাউবো বরিশাল অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার ইনকিলাবকে বলেন, বরিশাল বিভাগের বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ১২টি পয়েন্টে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ওই তিন জেলার শত শত গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বাঁধের পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাউবো কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
এদিকে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা এলে আমরা তা বিতরণ করবো। জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার মাছ এবং ১০ কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় ৩ হাজার ১৮টি পুকুর ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আয়তন ৪৩৭ হেক্টর। এতে ভেঙ্গে গেছে ৬৮৩ মেট্রিক টন মাছ ও ১৬ লাখ মাছের পোনা।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট প্রচন্ড জোয়ারে হাতিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের অন্তত ১৩টি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে পরবর্তীতে কোন দূর্যোগের আগে বাঁধগুলো মেরামত না করা হলে আবারও বিপদে পড়বে ওই এলাকার বাসিন্দারা। বেড়িবাঁধে ভাঙা অংশগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত তিন দিনে জোয়ারের পানিতে বাড়ি ঘর ভেসে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিছে বসবাস করছে দ্বীপটি কয়েক হাজার বাসিন্দা।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা জানান, ইন্দুরকানীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২ হাজার ১শ’ ২০ হেক্টর জমির আউশ ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে রয়েছে। ভেসে গিয়েছে সাত শতাধিক পুকুর। ফলে শুধু মাত্র মৎস্য ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকার। আর কৃষি ক্ষেত্রে আরও ক্ষতিগ্রস্ত কলা ও শাক সবজির চাষিরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দিকা বলেন, কৃষকদের রক্ষায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিকল্প কিছুই নেই।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিধ্বস্ত বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসীরা। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজামপুর ভাঙনকবলিত বাঁধের উপর এ মানববন্ধন করে তারা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে নিজামপুর, কমরপুর ও সুধিরপুর গ্রামের শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন নিজামপুর গ্রামের মো. নূরুজামাল, মালেক ফরাজীসহ আরো অনেকে।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান,ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বেড়ে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির দুই হাজার ১৩৯টি মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও মাছের পোনা ভেসে যাওয়ায় প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। দুই দিন ধরে মৎস্য খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মেরামতের কাজ করছেন। এতে তাদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। ফলে লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা ক্ষতি পুষিয়ে ওঠাই দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ইয়াসের প্রভাবে সুগন্ধা ও বিষখালীসহ অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে ২ হাজার ১৩৯টি পুকুর, মাছের ঘের ও জলাশয়। এতে বিভিন্ন প্রজাতির ১৩৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৩১ মেট্রিক টন মাছের পোনা ভেসে গিয়ে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ। পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় জেলায় ১৮৯২ জন মৎস্য খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মৎস্যখাতে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাঁঠালিয়ায়। এ উপজেলায়ই ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নলছিটির জামুরা গ্রামের সিকদার মৎস্য খামারের মালিক রিপন সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বেড়ে আমার দুটি মৎস্য ঘের তলিয়ে অসংখ্য মাছ ও মাছের পোনা ভেসে গেছে। এতে চার-পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দুই দিন ধরে শ্রমিক দিয়ে ঘেরের চারপাশে জাল দিয়ে নতুন করে বেষ্টনি তৈরি করেছি। এতেও অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে।
নলছিটির তরুণ উদ্যোক্ত শীতলপাড়া গ্রামের মা এগ্রো ফার্মের মালিক আমিরুল ইসলাম সোহেল বলেন, আমার শিমুলতলা এলাকায় ১ একর জমিতে মাছের ঘের রয়েছে। ঘেরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছি। দুই দিন ধরে পানিতে তলিয়ে আছে ঘের। এতে অসংখ্য মাছ ভেসে গেছে।
ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। এ তালিকা আরো বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোন বরাদ্দ আসলে, তা সঠিকভাবে বন্টন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।