পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি ভারতের কেরালা রাজ্যে নিয়ে বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতারদের মধ্যে বাংলাদেশি তরুণ রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়ানোর পর জড়িতদের গ্রেফতার অভিযানের মধ্যে পালানোর চেষ্টাকালে টিকটক হৃদয়ের পায়ে গুলি করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। হৃদয় সেখানকার একটি স্থানীয় হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, ভিডিও দেখে নিজের মেয়েকে শনাক্ত করেছেন রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার এক ব্যক্তি। থানায় গিয়ে তিনি মেয়েকে পাচারের মামলা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে হাতিরঝিল থানায় মামলা করে মেয়েটির বাবা। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে দুবাইয়ে পাচার করার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে উলঙ্গ করে হাত পা মুখ চেপে নির্যাতন করে আনন্দ করেছে তারা।
মামলার এজাহারে মেয়েটির বাবা জানান, তিনি মগবাজার এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করেন। তার মেয়ের ৬-৭ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামী ৩ বছর ধরে কুয়েতে থাকে। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সে আমার বাসায় ও শ্বশুরবাড়ি উভয় জায়গায় থাকত। মেয়েটি ১৫ মাস আগে আমাকে জানায় সে দুবাই যাবে। আমি তাকে নিষেধ করি। তবে এক বছর ধরে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে আমি জানতে পারি, মগবাজারের রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় তাকে ফুসলিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে। কিছুদিন আগে জানতে পারলাম মেয়েটি হৃদয়ের সঙ্গে ভারতে আছে। তবে সম্প্রতি ভিডিও দেখে আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারি। ভিডিওতে রিফাদুলকে দেখা গেছে, সেই আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে। মামলার এজাহারে ভিডিওতে করা নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। মামলায় মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা দেওয়া হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত শুরু করব। ভুক্তভোগীকে দেশে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। এছাড়াও আসামিদের ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারতে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আমাদের নজরে আসে। বিশ্লেষণ করে ভিডিওটির একজনের সঙ্গে বাংলাদেশি একটি ছেলের ছবি মিলে যায়।
তিনি বলেন, আমরা জেনেছি, বেঙ্গালুরু পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে টিকটক হৃদয়সহ দুজন পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ভুক্তভোগী ও জড়িত অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এনসিবি শাখা) মো. মহিউল ইসলাম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যা জেনেছি, তা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম সূত্রেই। অফিসিয়ালি ঘটনা সম্পর্কে, ভুক্তভোগী এবং আটকদের সম্পর্কে জানতে আমরা দিল্লি এনসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, মেইল করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা হয়েছে, তেজগাঁও ক্রাইম ডিভিশন বিষয়টি তদন্ত করছে। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়ার পরই ভুক্তভোগী এবং আটকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এক্ষেত্রে বলতে পারেন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরাল প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের এক প্রেস নোটে জানানো হয়েছে, ভিডিও ক্লিপ দেখে ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ পাঁচ জনকে দ্রুত শনাক্ত করে আটক করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ এবং আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে রামমূর্তি নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও এ সংশ্লিষ্ট আইনের অন্যান্য ধারায় মামলা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই বাংলাদেশি।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ জেলার এক তরুণীকে ভারতের কেরেলা রাজ্যে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশেরই রিফাতুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবক জড়িত বলে সত্যতা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। অভিযুক্ত যুবক রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ২০-২২ বছরের একজন তরুণীকে বিবস্ত্র করে ৩-৪ জন যুবক শারীরিক ও বিকৃতভাবে যৌন নির্যাতন করছে। বিষয়টি জানার পর ওই ঘটনায় বাংলাদেশি রিফাতুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবক জড়িত বলে সত্যতা পাওয়ার কথা জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। অভিযুক্ত যুবক রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।