পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের মধ্যে বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এতে লকডাউনের সাত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসই ঊর্ধ্বমুখী ছিল বাজার। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। একই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ দুই হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল চার লাখ ৯২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। আগের ছয় সপ্তাহেও বড় অঙ্কের মূলধন বাড়ে বাজারটিতে। আগের ছয় সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বাড়ে ৩৩ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। এ হিসেবে লকডাউনের সাত সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বাড়ল ৪৩ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। আগের ছয় সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৫৫৮ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ টানা সাত সপ্তাহের উত্থানে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক বাড়ল ৭৩১ দশমিক শূন্য চার পয়েন্ট। অবশ্য তার আগের চার সপ্তাহ টানা এই সূচকটি কমে। আগের চার সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক কমে ৩১৪ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। প্রধান মূল্যস‚চকের পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও। গত সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ১১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছে আট দশমিক ৪০ পয়েন্ট। অপরদিকে ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ১২ দশমিক ২০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে দুই দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।
সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৯২টির। আর ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ৬৮৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৪৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে সাত হাজার ৬৮৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় আট হাজার ৪২৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন কমেছে ৭৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। মোট লেনদেন কমার কারণ গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়। গত সপ্তাহে ডিএসই’র মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, প্রাইম ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, এনআরবিসি ব্যাংক, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, আইএফআইসি ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস এবং ন্যাশনাল ফিড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।