তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পর হার বেশি। এরফলে ঘামও ঝরছে বেশি। ভ্যাপসা গরমে-ঘামে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি দেশের অনেক জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে কমছেই না গরমের যাতনা।
গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটি ও কিশোরগঞ্জে ৩৬.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.৭ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৬ ডিগ্রি সে.। আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আজ শনিবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় রংপুরে ৫৬ মিলিমিটার। এ সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, বরিশাল বিভাগে স্বল্পবৃষ্টি হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে সমুদ্র বন্দরসমূহের সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে।