পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমি রেজিস্ট্রি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে ‘লজিক ফোরাম’ নামক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকার প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিস্বাক্ষর করে। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কাগজের ভলিউমে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইনে দলিল রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপির নির্দেশনায় ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে সারা দেশের ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তরে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে নিবন্ধন অধিদপ্তরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিদর্শক ও প্রকল্প পরিচালক শহীদুল আলম ঝিনুক এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান লজিকফোরাম লিমিটেড’র নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ তারিকুল হক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও যুগ্ম সচিব এএইচ এম হাবিবুর রহমানসহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বা ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ পদ্ধতি প্রচলের উপযোগিতা যাচাইকরণ, ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়ারের প্রকৃতি যাচাইকরণ, ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের সফটওয়ার ব্যবহারের জন্য হার্ডওয়ারের প্রকৃতি যাচাই ও পরিমাণ নির্ধারণ করা, হাতে লেখা এলটি নোটিশ এর পরিবর্তে ‘ই-এলটি নোটিশ’ জারির পরীক্ষামূলক সফটওয়ার উন্নয়ন, হাতে লেখা বালাম বহির পরিবর্তে ডিজিটাল বালাম প্রচলনের সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ, ডিজিটাল সূচিকরণ বা ই-ইন্ডেক্সিং পরীক্ষামূলক চালুকরণ ও বিদ্যমান ম্যানুয়াল দলিলগুলো ডিজিটাল করার সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মনে করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমির মালিকানা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি অনলাইনে অটোমেটিক যাচাই হবে এবং বায়োমেট্রিক টিপসই গ্রহণ করে দলিল অনলাইনে রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে শৃঙ্খলা আসবে ও জাল জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এতে রেজিস্ট্রি সেবা গ্রহণে মানুষের হয়রানি, সময় ও খরচ এবং আদালতে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।