পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রফতানির প্রধান গন্তব্যস্থল যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রফতারি আয় কমেছে বাংলাদেশের। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো থেকে রফতানি আয় বেড়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সা¤প্রতিক পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই দুই মাসে সবচেয়ে বেশি রফতানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই ও আগস্টে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যুক্তরাজ্যে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এই সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৬১ লাখ ডলার; ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে যা ছিল ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। অন্যদিকে ইইউভুক্ত দেশ জার্মানি আমাদের রফতানির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গন্তব্যস্থল। জার্মানিতে জুলাই-আগস্ট মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে । ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জার্মানিতে রফতানি হয়েছে ৯৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে যা ছিল ৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চীন থেকে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৩৪ শতাংশের বেশি।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে রফতানি কমেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশের প্রধান রফতানির গন্তব্যস্থল যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি প্রবৃদ্ধি কমেছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রফতানি আয় ১০০ কোটি ডলার ছাড়ালেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এ ছাড়া রফতানি আয় কমেছে কানাডা ও ইতালি থেকে। তবে বাকি প্রায় সব ক্ষেত্র থেকেই রফতানি আয় বেড়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউরোপের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। যার ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে দেশের রফতানি আয়ে। এ বিষয়টি ছাড়াও গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশের যে উন্নতি হয়েছে, তাতে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশের ক্রেতাদের মধ্যে এ খাত নিয়ে আস্থা ফিরে এসেছে। তার প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যাচ্ছে রফতানি আয়ে। তারা আরও মনে করেন, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের (ব্রেক্সিট) প্রভাব এখনো লক্ষ করা যাচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।