পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পাল্টাপাল্টি বক্তব্যেও দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বার ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগের ৩০ জন বিচারকের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ২ জন বিচারককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোন বিবেচনায় এই জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়’। এ সময় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের পূর্বে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে কোনো বিচারক নিয়োগ করা হলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারপতি মানিক বিচার বিভাগের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন।
এদিকে খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্যর পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগে কোনো ধরনের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হয়নি। কারণ চারদলীয় জোট সরকারের সময় তাদেরকে স্থায়ী করা হয়নি এবং পরে নিজামুল হককে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, মো. নিজামুল হক নাসিম ও মোহাম্মদ বজলুর রহমানকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।