Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাউন্সিলে বড় পরিবর্তন আসছে না আওয়ামী লীগে

প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৪ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বর্তমান কমিটির অনেক নেতাই পদোন্নতি পাচ্ছেন ওয়ান-ইলেভেনের ভূমিকাই মূল্যায়নের মাপকাঠি কমিটির আকার বাড়ছে তৃণমূলে
তারেক সালমান : দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর। কাউন্সিলকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। নানা যজ্ঞে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দুই দিনব্যাপী এ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ক্ষমতাসীন দলের এই জাতীয় কাউন্সিলে বিশ্বের বিভিন্ন বন্ধু দেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে আসবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে দলের নেতৃত্বে বড় কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। তবে টানা সাত বছর দায়িত্ব পালন করা অনেক নেতার দায়িত্ব ও পদ-পদবিতে কিছুটা পরিবর্তন এবং কিছু পদে অনেকে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে নতুন ধারা তৈরি হয়েছে তার ওপরই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আস্থা রাখতে যাচ্ছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে।
২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও বর্তমান কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই ২০০৯ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব পেয়েছেন। এবারও তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দক্ষতার পাশাপাশি দলীয় আনুগত্যকে বড় করে দেখছেন। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে সামনে রাখছেন রাজনীতির দুঃসময় ওয়ান-ইলেভেনের পরিস্থিতি ও নেতাদের ব্যক্তিগত ভূমিকাকে।
সূত্র জানায়, বিশ্ব রাজনীতির চমক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে দেশ-বিদেশে যেসব নেতারা কাজ করছেন, তাদেরকে সামনে রেখেই দল সাজাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদসহ অন্যান্য পদে বড় রকমের কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে। সেক্ষেত্রে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের বেশিরভাগই পুনরায় সুযোগ পাবেন। সেইসঙ্গে গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়ে নতুন কিছু পদ সৃষ্টি হওয়ায় কিছু নতুন মুখও যোগ হবেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে এবারের সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে ভিশন ২০৪১, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের উল্লেখ থাকবে। সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত অন্য উপকমিটিগুলো বিশেষ করে প্রচার উপকমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পদক ও পুরস্কারপ্রাপ্তি তুলে ধরে প্রচারণা চালাবে।
সর্বশেষ ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৭৩ সদস্য থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৮১ সদস্যবিশিষ্ট করার একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিই দলীয় নীতি নির্ধারণী ফোরাম; তাই সেখানে আকার বাড়ানোর চেয়ে কমিটিকে অর্থবহ করতেই প্রধানমন্ত্রী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বেশকিছু নতুন সংযোজন আসছে। এ নিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন উপকমিটি কাজ করছে। তৃণমূলে দলের কমিটির আকার বাড়ছে। পাড়া-মহল্লা কমিটি ৩১ সদস্য থেকে বাড়িয়ে ৪১ করার প্রস্তাব আসছে। ইউনিট কমিটি (মহানগর) ৩৭ সদস্য থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করার প্রস্তাব প্রস্তুত করা হচ্ছে। থানা কমিটিও বাড়ানোর প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে থানা কমিটির ৬৭ সদস্যবিশিষ্ট। ওয়ার্ড, পৌর ও ইউনিয়নে বর্তমানে সহসভাপতি আছেন ৫ জন করে। তা বাড়িয়ে ৭ জন করা হবে। যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আছেন ২ জন করে। আরও একজন বাড়ানো হবে।
এ ছাড়া গঠনতন্ত্রের ২৭ ধারায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড সংযোজিত হবে। বর্তমানে এ ধারাটি কেবল ১১ সদস্যের ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ড’ সম্পর্কিত। সংসদীয় বোর্ডের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডও কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হবে। এটি হতে পারে ১৯ সদস্যের।
গঠনতন্ত্রে আরেকটি বিষয় যুক্ত হবে। আওয়ামী লীগের জেলা কিংবা অন্য কোনো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পদে থাকলে মূূল দলের উপকমিটির সহসম্পাদক পদে আসা যাবে না। আর মূল দলের ৭৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদ বাড়িয়ে ৮১ সদস্য করা হতে পারে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদ সভাপতিম-লীর সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ সদস্যবিশিষ্ট করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা বর্তমানে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনটি থেকে বাড়িয়ে পাঁচটি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এক প্রকারে নিশ্চিত বলে জানা গেছে। ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করা হলে সেখানে নতুন বিভাগীয় সম্পাদকের পদ সৃষ্টির সুযোগও গঠনতন্ত্রে থাকবে বলে জানা গেছে। মানবাধিকার, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির মতো কয়েকটি সম্পাদকীয় পদ সৃষ্টি করা হবে।
জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলরদের ভোটে দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের বিধান আছে। ভোটের মাধ্যমে এই নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা থাকলেও সভাপতি পদে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। ১৯৮১ সাল থেকে এ দলটির নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এখন বৃহৎ ও শক্তিশালী দলে পরিণত করেছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সাধারণ সম্পাদক নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। এ পদের জন্য অনেকে আগ্রহী। তবে এখন পর্যন্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ‘রানিংমেট’ হিসেবে ‘দক্ষ ও বিশ্বস্ত’ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেই আবার এ পদে রাখবেনÑবিষয়টি এক রকম নিশ্চিত। এবার আবারও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ পদে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন। যদিও এ পদে আরেক সিনিয়র নেতা সড়ক ও সেতুযোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নামও বিবেচনায় আসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিম-লী বর্তমানে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট, যা এবারের কাউন্সিলের মাধ্যমে ১৯ সদস্যের হতে পারে। বর্তমান ১৫ সদস্যের কমিটিতে ১২ জন সদস্য রয়েছেন। যাদের মধ্যে সতীশ চন্দ্র রায় ও সাহারা খাতুন বয়স বিবেচনায় বাদ পড়তে পারেন।
জানা গেছে, দলীয় সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পদের জন্য অনেক নেতাই প্রত্যাশায় আছেন। তবে অতীতে রাজনৈতিক কর্মকা-ে দলের জন্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানায় দলীয় সূত্র। যারা আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে রয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বর্তমান কমিটি থেকে যারা পদোন্নতি পেয়ে এ ফোরামে যুক্ত হতে পারেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. আবদুর রাজ্জাক ভোলা, সিলেট অঞ্চল থেকে সাবেক চিফ হুইফ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ অথবা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ যুক্ত হতে পারেন সভাপতিম-লীতে, সতীশ চন্দ্র রায় বাদ পড়লে উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁওয়ের রমেশ চন্দ্র যুক্ত হতে পারেন এ ফোরামে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুসারে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ তিনটি। আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে এ পদের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হতে পারে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। দলের হয়ে কাউন্টার পলিটিক্সে বিভিন্ন যুক্তি-তর্ক নিয়ে মাঠে থাকা প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের পদোন্নতির সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ডা. দীপু মনির সঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বীর বাহাদুর দেওয়ান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও ড. হাছান মাহমুদ।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ সাতটি। ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাড়বে। এ ছাড়া ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগ হলে সাংগঠনিক বিভাগ হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটি থেকেই পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে ঢাকা ও খুলনা বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সমালোচনা বিস্তর। এ দু-একজন ছাড়া বাকিদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সাংগঠনিক সম্পাদক অথবা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেয়ার জন্য বেশ কিছু সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নাম আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের হাতে। কমিটির আকার বাড়ায় অন্তত ১০-১২ নতুন মুখ আসতে পারেন এবারের কমিটিতে। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা যারা ১/১১ সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।
এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেতে পারেন আফজাল হোসেন। তিনি বর্তমানে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। এছাড়া এ পদে অথবা কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য যেকোনো পদে নতুনদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা শাহে আলম, ইসহাক আলী খান পান্না, পংকজ দেবনাথ, খলিলুর রহমান খলিল। খুলনা বিভাগের দায়িত্বে আসার আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন। নতুন মুখের মধ্যে আলোচনায় আছেন বীরেন শিকদার, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সাইফুজ্জামান শিখর, আব্দুল মজিদ।
চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে আসতে পারেন সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর মধ্য থেকে কেউ। রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য কোন পদে আসতে পারেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ইসরাফিল আলম, হাসান কবির আরিফ, কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, উমা চৌধুরী। রংপুর বিভাগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পদোন্নতি হলে এ বিভাগে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দেখা যেতে পারে মাহবুবা আক্তার গিনি অথবা মাহমুদ হাসান রিপনকে।
নতুন বিভাগ হলে ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, ইকবাল হোসেন অপু, বাহাদুর বেপারি, নাহিম রাজ্জাক, আয়মন আকবর, আনোয়ার হোসেন। কুমিল্লা বিভাগের আলোচনায় আছেন জহির উদ্দিন মোহাম্মদ লিপ্টন, শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু। চট্টগ্রামের হলেও এ বিভাগে দায়িত্ব পেতে পারেন সুজিত রায় নন্দী। ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বে আসতে পারেন মির্জা আজম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল হক শাকিল, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন, মারুফা আক্তার পপি। ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে আসতে পারেন ঢাকা মহানগরের কোনো তরুণ সংসদ সদস্য। অন্য কোন বিভাগের কাউকেও দেয়া হতে পারে ঢাকার দায়িত্ব। তবে এ বিভাগে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু নাম বেশ আলোচনায় রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের করা দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পুনরায় তাকে দলে ফেরানোর কথা ভাবছে দলটির হাইকমান্ড। কারণ এর মধ্য দিয়ে সরকারের স্বচ্ছতা প্রমাণিত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ ছাড়া নারীদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদে আসতে পারেনÑডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, রওশন জাহান সাথী, নুরজাহান মুক্তা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক স্থপতি ইয়াফেস উসমান, শিক্ষা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদ, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর সম্পাদকম-লী থেকে জায়গা পেতে পারেন দলের উপদেষ্টা পরিষদে।



 

Show all comments
  • আবির ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৩:২৬ পিএম says : 0
    ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • রফিকুল ইসলাম ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৩:২৮ পিএম says : 0
    পংকজ দেবনাথকে একটি সম্মানজনক পদ দেয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • সুলতান ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৩:৩৩ পিএম says : 0
    কমিটির আকার বড় করার কোন দরকার আছে কি ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাউন্সিলে বড় পরিবর্তন আসছে না আওয়ামী লীগে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ