পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প হবে, রাস্তা হবে, পার্ক হবে, সৌন্দর্যবর্ধন হবে, ড্রেন হবে, সড়ক বাতি হবে ইত্যাদি সবই হবে। প্রথমে বিরাট আয়োজন, তারপর উন্নয়নের নামে লোপাট। সড়ক বাড়ির আলোতে ঝকঝকে হবে চর্তুদিক, এরপর লাইট জ¦লবে না, সড়ক বাতি রাতে দিনে জ¦লবে, খুটি ভেঙে পড়বে, দেখার কেউ থাকবে না। কিন্তু বাজেট হবে পরিকল্পনা হবে এভাবে শুর” হবে উন্নয়ন ও সংষ্কারের নামে খাই খাই দশা। দেখবে কে ? এসবের মহাকর্তারা খুবই চতুর! একটি খেয়ে আরেক প্রকল্প ঢাকঢোল পিটিয়ে শুর” করে নগরবাসীর দৃষ্টি এড়িয়ে নেয়।
এমন আরেক প্রকল্প হল ‘ডিজিটাল সিলেটে সিটি প্রকল্প’। এ প্রকল্পের উদ্বোধন হয় ২০২৯ সালের ২৭ জুন। এর আওতায় চালু হয়েছিল পাবলিক ওয়াই-ফাই জোন, সার্ভিলেন্স সিস্টেম এবং অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম। কিন্তু যাত্রা শুরুর প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কাঙ্খিত সেবা মিলছে না। বরং বিনামূল্যের ওয়াইফাই’ প্রকল্পটি এখন যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়ছেন নগরবাসী। বাংলাদেশের প্রথম ওয়াইফাই সিটি হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের ৬২ এলাকার ১২৬টি স্থানে এ সেবাটি চালু করেছিল। তবে সচেতন মহল বা ব্যবহারকারীরা বলছেন তা কেবল নাম মাত্রই। পোহাতে হচ্ছে নানা যন্ত্রণা। কোথাও নেটওয়ার্কের গতি খুব দুর্বল, কোথাও আবার লগইন হচ্ছে না। এতে হতাশ ব্যবহারকারীরা। কয়েক কোটি টাকার এ প্রকল্পটি বলতে গেলে মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ স্বপ্নের চাইতে বেশি কিছু তুলে ধরা হয়েছিল এ সেবার সুফল নিয়ে। তবে সেই স্বপ্ন যেন এখন গুঁড়ে বালি। বাস্তবতা যেন এক মরিচীকাময়। এ প্রকল্প এখন কর্তৃপক্ষের নজরহীন।
লোপাটের জন্য একটি প্রকল্প দরকার, তেমন অসৎ মানসিকতায় হয়তো হাতে নেয়া হয়ছিল এ প্রকল্পটিও। পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল ফ্রি ওয়াইফাইয়ের কার্যক্রম সিলেটে। দেশের প্রথম নগরী হিসেবে এ নগরীর ৬২ টি পয়েন্টে ১২৬ টি অ্যাকসেস পয়েন্টের মাধ্যমে বিনামূল্যের এই ইন্টারনেট সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে এই ফ্রি ওয়াইফাই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।
ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে নগরীতে ওয়াইফাই সংযোগ চালুর কাজ পায় আমরা নেটওয়ার্ক নামক প্রতিষ্ঠানে। আমরা নেটওয়ার্ক ওয়াইফাই সংযোগ চালুর কাজ করেছিল। এ কাজে রাউটার, ক্যাবল প্রভৃতি সরঞ্জাম আনা হয়েছিল চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কাছ থেকে। নগরীর ৬২টি পয়েন্টে ওয়াইফাই রাউটার বসানো হয়েছিল। এসব রাউটারের মাধ্যমে ১২৬টি অ্যাকসেস ছিল পয়েন্ট। পয়েন্টগুলো থেকে যে কেউ নিজের মোবাইল ফোনের ওয়াইফাই অন করার পর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ লেখা ইউজার নেম পাওয়া যাবে। পাসওয়ার্ড দিলেই সংযোগ চালু হয়ে যাবে। প্রতিটি অ্যাকসেস পয়েন্টে ৫০০ জন মানুষ সংযুক্ত হতে পারবেন। তবে একসঙ্গে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন সর্বোচ্চ ২০০ জন। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে ঢাকার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে সিলেটে ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ইউজার নেম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং পাসওয়ার্ড ‘জয় বাংলা’ দেয়া হয়েছিল। নগরীর চৌকিদেখি, দরগাগেট, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, হাসান মার্কেট, সুরমা ভ্যালি রেস্টহাউস, কিনব্রিজ, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, কদমতলী, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, উপশহর, টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ, কুমারপাড়া, বালুচর, নাইওরপুল, মীরাবাজার, রায়নগর, সোবাহানীঘাট, ধোপাদিঘিরপাড়, নয়াসড়ক, কাজীটুলা, চৌহাট্টা, হাউজিং এস্টেট, সুবিদবাজার, মীরের ময়দান, পুলিশ লাইনস ও রিকাবীবাজার এলাকায় বসানো হয়েছিল ফ্রি ওয়াইফাই সার্ভিস।
নগরীর এলাকার ওয়াইফাই ব্যবহারকারী ও যুবলীগ নেতা সেবুল আহমদ সাগর বলেন এ সেবা প্রসঙ্গে বলেন, সেবাটি নামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর্থিক ফায়দা ঠিকই মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হয়েছে, কিন্তু নগরবাসীর কোন উপকার হয়নি। অন্য প্রকল্পগুলোর দশা এ প্রকল্পতেও। মাল একই কিন্তু মোড়ক পরিবর্তন করছে দুর্নীতিবাজরা।
তবে ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মধুসূদন চন্দ জানান, কেবলই এ সেবা চালু হয়েছে। তাই কিছুকিছু ক্ষেত্রে হচ্ছে সমস্যাও। দ্রুত এ সমস্যা কেটে যাবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজ বলেন, আগামীতে এ কার্যক্রমের তদারকি করবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। আপাতত প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাই এর দেখভাল করছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হয়েছিল এই দেশে বহু মহৎ উদ্যোগের শুরুটা ভালো হলেও তা রক্ষণাবেক্ষণ পর্যায়ে গিয়ে আটকে যায়। তেমন দশায় পড়তে যাচ্ছে সিলেটে এ প্রকল্প। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে বহাল রাখা। জনতার তিক্ত অভিজ্ঞতা সাক্ষ্য দেয়, সিসিককে উন্নয়ন সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ এখন পর্যন্ত। নজরদারি কর্তৃপক্ষ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনকেই তা নিশ্চিতের কথা থাকলেও অন্যান্য প্রকল্পের মতো এ প্রকল্প শুর”র ভালো শেষ পর্যন্ত থাকেনি এখানেও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।