পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা
টঙ্গী থেকে মো: হেদায়েত উল্লাহ : টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকার ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ উদ্ধারের অষ্টম দিন পার হলেও নিখোঁজ ১১ শ্রমিকের জীবিত বা লাশের সন্ধান এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা গতকালও ছবি হাতে কারখানার ধ্বংসস্তূপের পাশে বসে আহাজারি আর বিলাপ করছে। অগ্নি বিস্ফোরণে ধসে পড়া কারখানার ধ্বংসস্তূপ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে বলে আইএসপিআর সূত্র জানায়। সর্বশেষ গত বুধবার ৪ জনের লাশসহ মোট ৩৪ জনের লাশ উদ্ধারের পর গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে আর কোনো লাশ উদ্ধার হয়নি। তবে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে অজ্ঞাত আরো ৬ জনের লাশ রয়েছে। আজ (সোমবার) তাদের ডিএনএ টেস্ট করানো হতে পারে। নিখোঁজ ১১ জনের মধ্যে ৬ জনের লাশ সেখানে থাকতে পারে বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়। বাকি ৫ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানার চেয়ারম্যান সৈয়দ মকবুল হোসেন, তার স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে, মেয়ের জামাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ সাতটি ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে টঙ্গী থানা পুলিশ। কারখানায় বিস্ফোরণ, অগ্নিকা- ও ভবন ধসে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত ও আহতের ঘটনায় টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার চক্রবর্তী বাদি হয়ে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলাটি দায়ের করেন। দ-বিধি আইনের ৩০২ (হত্যা) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা হচ্ছেনÑ ট্যাম্পাকোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মকবুল হোসেন (৬৫), তার ছেলে কারখানার এমডি তানভীর আহম্মেদ (৪০), তার স্ত্রী কারখানার সার্বিক দায়িত্বে থাকা পারভীন (৫৮), মেয়ে পরিচালক আদিবা পারভীন (৩২), মেয়ের জামাই ডিএমডি শফি সামী (৪০), জিএম শফিকুর রহমান (৫৫), ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মনির হোসেন (৫০), ম্যানেজার (সার্বিক) সমীর আহম্মেদ (৩৫), ডিএমডি আলমগীর হোসেন (৪৮) ও ম্যানেজার (নিরাপত্তা) হানিফ। চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন সিলেটের গোপালগঞ্জ থানার সুন্দিসাইল এলাকার বাসিন্দা। মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, আসামিরা কারখানার শ্রমিক ও পথচারীদের হত্যা করার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস লাইন বা ঝুঁকিপূর্ণ বয়লার মেরামত না করে এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অগ্নিকা-ের সাহায্যে শ্রমিক ও পথচারীদের হত্যা ও গুরুতর আহত এবং জখম করে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি করেন।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ফিরোজ তালুকদার ইনকিলাবকে জানান, পুলিশ বাদি হয়ে মকবুল হোসেন ও তার পরিবারের চার সদস্যসহ কারখানার ১০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ছয়জনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও টঙ্গীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।