Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়াবহ কিশোর গ্যাং

গ্রুপ তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি সন্ত্রাস ছিনতাই মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে পরিবার ও সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে : সাবেক

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের আতঙ্ক বেড়ে চলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের পরও থামছে না কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। ছোট বিষয় নিয়েও জড়িয়ে পড়ছে সহিংসতায়। পাড়া-মহল্লায় দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো, স্কুল-কলেজের সামনে আড্ডা, মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া, তরুণীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করতে গড়ে তুলছে ‘কিশোর গ্যাং’। দিন দিন তারা হয়ে উঠছে ভয়াবহ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব গ্রুপ গড়ে উঠছে হরদম। এক গ্রুপের দেখাদেখি জন্ম নিচ্ছে আরেক গ্রুপ। চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে হত্যাকান্ডে পর্যন্ত জড়াচ্ছে ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সী কিশোররা। অস্ত্র হিসেবে তারা ব্যবহার করছে ছুরি বা চাকু বা চাপাতির মতো ধারালো বস্তু। আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র বা নারীঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটছে হত্যাকান্ড। সর্বশেষ গত ১৬ মে বিকেলে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর সড়কে সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িতরাও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এদের মধ্যে গত শনিবার মো. মনির গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এবং এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পল্লবীর ইষ্টার্ন হাউজিং এলাকায় মো. মানিক র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সাহিনুদ্দিনের পরিবারের ১২ একর জমির দখল নেয়ার চেষ্টা করছিলেন সাবেক এমপি আউয়াল। আর ওই কিশোর সন্ত্রাসীদের তিনি ৩০ লাখ টাকা ভাড়া করেছিলেন।

সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ বলেন, কিশোর অপরাধ বা কিশোর গ্যাং যে ভয়াবহ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানে পুলিশ সব কিছু করতে পারবে না। এদের নিয়ন্ত্রণে পরিবার ও সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে। আর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোরও দায়িত্ব আছে। সকলকে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে পদক্ষেপ গ্রহন করলেই কিশোর অপরাধ দমন করা সম্ভব হবে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দেশে কোমল মতি শিশু-কিশোরদের কিশোর গ্যাংয়ের নামে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজধানীতে এ ধরনের ৫০টির অধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। র‌্যাব রাজধানীসহ সারাদেশে কিশোর অপরাধীদের গ্রেফতার এবং যারা এদের অপরাধে সম্পৃক্ত করছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপরাধের পাশাপাশি মাদক পরিবহনেও কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এ জন্য পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। শুধু গ্রেফতার বা আইন প্রয়োগ করে এদের নিয়ন্ত্রণ বা সংশোধন করা সম্ভব নয়।

আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ বছরে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে ১২০ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২ বছরে ৩৪ জন খুন হয়েছেন। এসব ঘটনায় চার শতাধিক কিশোরকে আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘বড় ভাই’রা। ঢাকায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের খুনাখুনিতে কিশোর ও তরুণদের ব্যবহার করার ঘটনাও ঘটেছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় ৩৪টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। র‌্যাবের প্রতিবেদনে ঢাকায় অর্ধশত কিশোর গ্যাং সক্রিয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। ঢাকার মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এ দুই এলাকায় প্রায় অর্ধশত কিশোর গ্যাং সক্রিয়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুনাখুনি, মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মিরপুর এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ভয়ংকর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ইসলামি শিক্ষার অভাবে এখন সমাজে মূল্যবোধের অভাব দেখা দিয়েছে। ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত কোন শিক্ষার্থী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হতে পারে না। তাদেরকে আড্ডা দিতেও দেখা যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে করোনার অজুহাতে মাদরাসা বন্ধ করে দিয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকেও এ পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, নানা কারণে কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। প্রথমে তুচ্ছ এবং পরে বড় অপরাধের সঙ্গে তারা জড়িয়ে পড়ছে। গডফাদাররা তাদের নিয়ন্ত্রণ করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আবারও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের প্রতিরোধ করতে আমরাও তৎপর রয়েছি। গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাও কিশোর অপরাধের ভয়াবহতা সামনে নিয়ে আসে। এসব অপরাধের মধ্যে খুন, ধর্ষণ, মাদক চোরাচালান, মাদক সেবন অন্যতম। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় পুলিশ প্লাজার বিপরীত পাশে হাতিরঝিল এলাকায় অন্তত ১২ কিশোরকে আড্ডা দিতে দেখা যায়। তাদের কারো হাতে গাঁজার স্টিক, কেউ ইয়াবা সেবনে ব্যস্ত, একজনের হাতে ফেনসিডিল দেখা গেল। প্রকাশ্যে এমন অপরাধ হতে দেখে একজন বয়স্ক ব্যক্তি এগিয়ে গিয়ে আপত্তি জানান। কিন্তু কিশোর গ্রুপটি উল্টো তাঁকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর ৩১ মার্চ রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলগেটে দুজন লোককে বেদম মারছিল ১০-১২ জন কিশোর। তারা চলে যাওয়ার পর এই প্রতিবেদক হামলার শিকার দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তাদের একজনের নাম জাহিদ। হেলাল নামের অন্যজন তার সহযোগী। জাহিদ নিজেকে ডেমরা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য পরিচয় দেন। তার পরনে ছিল টি-শার্ট ও জিন্স প্যান্ট। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাদা পোশাকে মাদক কারবারি এই কিশোরদের অনুসরণ করে তিনি এ পর্যন্ত এসেছেন। পরে তিনি তাদের কবলে পড়েন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বানানী স্টার কাবাবের পাশের রাস্তায় ছুরি মেরে হত্যা করা হয় কিশোর মো. শাকিলকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কিশোরকে আটক করে পুলিশ। গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর মুগদায় খুন হয় কিশোর মেহেদি হাসান। কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে এ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ১৫ কিশোরের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কিশোর অপরাধীদের একটা বড় অংশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান জীবনযাপন করে। রেললাইন ও বস্তি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত। বিশেষ করে মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে তারা জড়িত।

র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ৫০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এর মধ্যে উত্তরায় ২২টি ও মিরপুরে ১০টি গ্যাং সক্রিয়। এছাড়া তেজগাঁও, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, মহাখালী, বংশাল, মুগদা, চকবাজার ও শ্যামপুরে একাধিক গ্যাং সক্রিয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিং এবং মাদক ব্যবসার মতো অপরাধে বেশি জড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রক বা পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় সমাজের কিছু ‘বড় ভাই’ রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, কিশোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি করে। তাদের ড্রেস কোড থাকে, আলাদা হেয়ার স্টাইল থাকে, তাদের চালচলনও ভিন্ন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। তারা নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। নানাভাবে তারা অর্থ সংস্থানের চেষ্টা করে। এলাকার কোনো ‘বড় ভাই’র সহযোগী শক্তি হিসেবেও তারা কাজ করে।

সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, কিশোরদের একত্রিত করে কতিপয় ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত করছেন। তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। সহজ ও অল্প খরচে কিশোরদের দিয়ে তারা অপরাধ করানোর সুযোগ নিচ্ছে। অস্ত্রবাজি, মাদক ও হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তারা কিশোরদের ব্যবহার করে। এছাড়া কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কিশোর গ্যাং তৈরি করছে। এটি হল কিশোর গ্যাং তৈরির একটি দিক। অন্য আরেকটি দিক হল-আমাদের দেশে শিশুদের লালনপালন করার ক্ষেত্রে পরিবারগুলো শিক্ষা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য বিষয়ে যথাযথভাবে দায়িত্বপালন করছে না। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরা অপরাধে জড়ায় এমন একটি কথা সমাজে প্রচলিত আছে। এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও অপরাধে জড়াচ্ছে।



 

Show all comments
  • Feruz Ahammed ২৫ মে, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
    সমাজ কিভাবে এসব অপকর্ম ঠেকাবে!! সামাজিক রীতি অনুযায়ী পূর্ব পুরুষদের রেওয়াজ মোতাবেক যে সামাজিক দরবার সালিশের প্রথা চালু ছিল তা বর্তমান সরকারের ঘোষণা মোতাবেক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে,এর বিপরীতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিষদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে,তাতে তো দরবার হয় খুব কম,যেটুকু হয় তা নিজের পক্ষের ব্যাক্তিদের পক্ষ নিয়ে সমাধান করার অপচেষ্টা চলছে,নিরপেক্ষ কোন বিচার হয় এমন নজির খুব কম,এতে করে সমাজে হানাহানি আরও বেড়েই চলেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • সিহিন্তা সাবিন শ্রাবণ ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪১ এএম says : 0
    বর্তমান কিশোর গ‍্যাং খুব ভয়ানক।এর মুল কারন পরিবার থেকে সঠিক শিক্ষা পায়নি।
    Total Reply(0) Reply
  • Arifur Rahman ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪১ এএম says : 0
    স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ালেখার চাপ কম। আর যেসমস্ত শিশু এই কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত এরা মোটামুটিভাবে পিছনের সারির শিক্ষার্থী। সরকার, অভিভাবক এবং স্থানীয় কমিউনিটির যৌথ উদ্যোগে এই কিশোরদের রক্ষা করতে হবে। এখনই এদের থামাতে না পারলে এ সমাজের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nurul Huda ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪২ এএম says : 0
    কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার পেছনে যে কয়েকটা কারন কাজ করছে তার মূলে আছে রাজনৈতিক ছত্রছায়া, বড়ভাই নামক কিছু স্থানিয় নেতারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এদেরকে ব্যবহার করছে এবং তারাও কথিত বড় ভাইদের প্রভাব খাটিয়ে যেকোন অপকর্ম করার সাহস দেখাচ্ছে এবং করছে। তাই এসব কিশোর গ্যাং বন্ধে যেমন সামাজিক এবং পারিবারিক সচেতনতা প্রয়োজন তেমন প্রয়োজন রাজনৈতিকভাবে এদেরকে ব্যবহার বন্ধ করা।
    Total Reply(0) Reply
  • Saifullah Tamim ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪২ এএম says : 0
    যেভাবে গলিতে গলিতে কিশোরদের গ্যাং তৈরী হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে অবস্থা ভয়াবহ হবে বুঝা যায়। এখনই কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
    Total Reply(0) Reply
  • Masud Rana ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪২ এএম says : 0
    কিশোর গ্যাং সমাজের একটা ব্যাধি। প্রতিনিয়ত অনেক মানুষই অকারণে উঠতি বয়সের ছেলেদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Fahim Reza ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪৩ এএম says : 0
    সামাজিক অবক্ষয় গুলো পারিবারিক ভাবে সমাধান করতে হবে। ভালো পরিবেশে বেড়ে উঠুক পরিবারের সকল কচিকাঁচা। সন্ধ্যার পর ছেলে-মেয়ে কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে থাকলে সেই ছেলে-মেয়েসহ তাদের অভিভাবকদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
    Total Reply(0) Reply
  • Masudur Rahman ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪৩ এএম says : 0
    বিশেষত বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সারাদেশে এ অবস্থা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে পিতামাতাও অসহায়। কতক্ষণ ঘরে আটকিয়ে রাখা যায়?
    Total Reply(0) Reply
  • Noym Uddin ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪৪ এএম says : 0
    উঠতি বয়সের যুবক গুলো সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুনিয়ার সব কিছু খোলা শুধু বাংলাদেশের স্কুল গুলো বন্ধ আহারে শিক্ষাব্যবস্থা সরকারের কত অধঃপতন বিবেক যেন মরে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Jashim Uddin ২৫ মে, ২০২১, ১২:৪৪ এএম says : 0
    সামাজি অবক্ষয় শুধু আইন দিয়েই ঠিক হবেনা, পারিবারিক ভাবে এদের সচেতন করা খুব জরুরী... ভালো পরিবেশে বাড়ে উঠুক পরিবারের সকল কচিকাঁচা
    Total Reply(0) Reply
  • Harunur Rashid ২৫ মে, ২০২১, ১:২০ এএম says : 0
    Cut the head of the snake before it is completely out of control.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৫ মে, ২০২১, ৩:২৩ এএম says : 0
    এই অবহিত সরকার ছাত্র ছাত্রী সবাইকে সন্ত্রাসী করতেছে,স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকার কারনে এই অবস্থা,এই জন্য সুশীল সমাজ এবং বিশেষজ্ঞরা ও অভিভাবকরা,উনারা অবশ্যই এই অবস্থার জন্য পতিবাদ করা দরকার,কিন্তু সত্য কথা হলো এই অবহিত চৌরাচার সরকারের ভয়ে কেউ মুখ খেলেন না,আপনারা যদি এই ভাবে চুপ থাকেন,আপনাদের ছেলে মেয়েরা সন্তানদের ভবিষ্যত্ অন্ধকার,এই সরকারের কাজ হলো দেশে একটি অরাজকতা সৃষ্টি করে চির দিন জের করে ক্ষমতায় থাকা,জনগণ এবং তাদের ছেলেমেয়েরা কি করবে,এই বেপারে কি দরকার চিন্তার .....................
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ২৫ মে, ২০২১, ১২:০৮ পিএম says : 0
    No Qur'anic Law no peace, Allah created us and He knows for human being what is right and what is wrong. Man cannot legislated his own law, it is absolutely impossible, i.e. a camel cannot passthrough hole of a needle. Ruler have destroyed our whole country and people's morality as such the ruler can rule our beloved country without any problem. There are many Qur'nic ayat the Allah says: (Surah:Yusuf: Ayat:40) বিধান একমাত্র আল্লাহরই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে তাকে ছাড়া আর কারও এবাদত করো না এটি সঠিক দিন কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না (Surah:18: Ayat:26) “আল্লাহ তার কোন সিদ্ধান্তে তিনি কাউকে শরিক করেন না” Surah:5: Ayat:44: “যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার করে না এমন লোক তো পূর্ণ কাফির” Surah:5: Ayat:45: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করে না তাহলে তো এমন ব্যক্তি পূর্ণ জালিম.” Surah:5: Ayat:47: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে না, তাহলে তো এই লোকই পাপাচারী ফাসেক” (সুরা:মায়িদা,আয়াত:৪৮)‘আমি তোমাদের প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি এর আগে অবতীর্ণ কিতাবের সমর্থক ও সংরক্ষক হিসেবে। সুতরাং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো এবং যে সত্য তোমার কাছে এসেছে তা ত্যাগ করে তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কোরো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯): “পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র দ্বিন। যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা পরস্পর বিদ্বেষবশত তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও মতবিরোধ করেছিল।’ Surah:3: Ayat: 83: “তবে কি (তারা ) আল্লাহর দ্বীন ব্যতীত অন্য দ্বীন চায় ? এবং তাঁরই সম্মুখে গর্দান অবনত করেছে যে কেউ আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে স্বেচ্ছায় ও বাধ্য হয়ে এবং তাঁরই দিকে প্রর্ত্যাবর্তন করবে ।” Surah: 3: Ayat: 85 “এবং যে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম চাইবে তা তার পক্ষ থেকে কখনো গ্রহণ করা হইবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রহস্থদের অন্তর্ভূক্ত” । Surah:6: Ayat:114: “বল, তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কে বিচারক মানবো? যদিও তিনি তোমাদের প্রতি বিস্তারিত ভাবে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন. যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা জানে যে এই কোরআন তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে সত্যসহ অবতীর্ণ করা হয়েছে, সুতরাং তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হইও না”
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভয়াবহ কিশোর গ্যাং
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ