পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুফতি আমীর হামজাকে সাদা পোশাকে প্রশাসনের পরিচয়ে তার কুষ্টিয়া সদরের নিজ বাড়ী ডাবুরাভিটা থেকে নিয়ে গেছে। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে আমির হামজা তার নিজ বাড়িতে গেলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়। মুফতি আমির হামজাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি দল।
মুফতি আমির হামজার দাদা জান মোহাম্মদ জানান, আমির হামজা আজকেই বাড়িতে তার মা-বাবার সাথে দেখা করতে এসেছিল। সে সময় প্রশাসনের পরিচয়ে তাকে নিয়ে গেছে।
মুফতি আমির হামজার স্ত্রী তামান্না সুলতানা জানান, বিকাল ৫টার দিকে আমার শ্বশুর বাড়িতে ৬/৭ জন সাদা পায়জামা পাঞ্জাবী পরা ব্যক্তি প্রবেশ করেন। কোন কিছু বলার আগেই তাকে হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে কালো একটি হায়েস গাড়ীতে তোলেন। পরে ওই সাদা পোশাকধারীরা গাড়ীতে উঠে তাদের কালো পোশাক কটি গায়ে দিয়ে গাড়ী টান দেন। তাদের কাছে রাইফেলসহ অস্ত্রও ছিল। তিনি তার স্বামীকে উদ্ধারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের রিয়াজ সর্দারের ছেলে। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যম তার পালিয়ে বেড়ানোর খবর প্রচার করে। তবে তিনি সে বক্তব্য প্রত্যাখান করে বিবৃতিও দেন। আমির হামজা বলেছিলেন, আমি চোর নই যে পালিয়ে বেড়াবো। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রোগাম শেষ করে বাড়িতে এলে তাকে আটক করা হয়।
মুফতি আমির হামজা বাংলাদেশ জাতীয় মুফাস্সির পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আকিজ গ্রুপের ঢাকার মসজিদের খতিবের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
পুলিশের দাবি, আমির হামজা ওয়াজ মাহফিলের নামে ইসলামের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে ছড়ানো তার বেশ কিছু বক্তব্য উগ্রবাদে উসকানিমূলক, যা শুনে কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি নাশকতার মামলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান আমির হামজা।
সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় গত ৫ মে সাকিব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সাকিবকে গ্রেফতারের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাকিব ছাড়াও আলী হাসান ও মাহমুদুল হাসান গুনবী নামে দুজনকে আসামি করা হয়।
সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব কথিত বক্তা আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখের উগ্রবাদী-জিহাহি হামলার বার্তাসম্বলিত ভিডিও দেখেন এবং উগ্রবাদে আসক্ত হন। গত ১৫ মে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তৎকালীন উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলাচেষ্টাকারী সাকিবকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, এক ইসলামী বক্তার নির্দেশে তিনি এই পরিকল্পনা করেছিলেন। কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হন তিনি। আমরা সেসব বক্তাকে চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।