পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আগামী ১ জুলাই থেকে আমদানি-রাফতানি পণ্যচালানের বিপরীতে দুই লাখ টাকার বেশি শুল্ক পরিশোধে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গতকাল এনবিআর-এর সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, চলতি বছরে ১ জুলাই থেকে আমদানি-রফতানি পণ্যচালানের বিপরীতে দুই লাখ টাকার ঊর্ধ্বের শুল্ক-কর এবং ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে সকল পরিমাণ শুল্ক-কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কমলাপুরের আইসিডি ও ঢাকা কাস্টম হাউজে ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সব ধরনের বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে শুল্ক-কর পরিশোধে পরীক্ষামূলকভাবে ই-পেমেন্টের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে জুলাই থেকে দেশের সব শুল্ক হাউস ও শুল্ক স্টেশনে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর হলে ই-পেমেন্ট করতে হবে। আর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে শুল্ক-কর পরিশোধের সীমা থাকবে না। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাশুলও ই-পেমেন্টের আওতায় চলে আসবে।
২০১৭ সালে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু তার কাঙ্খিত সুফল গত দুই বছরে মেলেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়া গেছে। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
বর্তমানে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে অর্থ পরিশোধ করা যায়।
ফলে আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নির্বিঘ্নে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে আমদানি-রফতানি পর্যায়ে শুল্ক-কর পরিশোধে জালিয়াতির ঝুঁকি কমে যাবে। কিছু পণ্য রফতানিতেও শুল্ক দিতে হয়। আমদানিকারকেরা ই-পেমেন্ট করলে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতাও কমে যাবে বলে মনে করে শুল্ক কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।