Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশগামী কর্মীদের বাধ্যতামূলক করোনা টিকা দেয়া জরুরি

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রবাসী মন্ত্রীর কাছে ফোরাবের প্রস্তাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ৯:২৩ পিএম

মধ্যাপ্রাচ্যগামী অভিবাসী কর্মীদের বাধ্যতামূলক করোনা টিকা দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের জনশক্তি রফতানির খাতকে ধরে রাখতে হলে অভিবাসী কর্মীদের জন্য নির্বাচিত করোনা ভ্যাকসিন আমদানি করে সহজ শর্তে টিকা দেয়ার বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে। করোনার প্রথম ধাক্কার পর ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিশর প্রভৃতি দেশ থেকে কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব হচ্ছে। কর্মী গ্রহণকারী দেশগুলো অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীদের বাধ্যতামূলক কোভিট-১৯ প্রতিরোধমূলক টিকা নেয়ার শর্তটি আরোপিত করবে বলে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে।

অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীদের টিকা প্রদানের শর্তটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক করা হলে নিয়োগকারী দেশসমূহ বাংলাদেশ থেকে কর্মী গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না। আজ সোমবার ফিমেল ওর্য়াকার্স রিক্রুটিং এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (ফোরাব) সভাপতি আব্দুল আলিম ও মহাসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ও মন্ত্রী পরিষদ সচিবের কাছে বিদেশগামী কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকা দেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য লিখিত প্রস্তাব পেশ করেছেন।

প্রস্তাবে আরো বলা হয়, কোভিট-১৯ প্রতিরোধ টিকার প্রথম ডোজ হতে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের মধ্যবর্তী একমাস সময় অতিবাহিত হয়। যা একজন অভিবাসী প্রত্যাশী কর্মীর জন্য সময়ে সাপেক্ষ। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ড ভিত্তিক ওষুধ কোম্পানীর জনসন এন্ড জনসন কোভিড-১৯ প্রতিরোধ টিকাটি কেবলমাত্র একটি ডোজ গ্রহণ করাই যথেষ্ট। অভিবাসী প্রত্যাশী কর্মীদের জন্য উল্লেখিত প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিনটি জরুরিভিত্তিতে আমদানি করে কর্মীদের পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নিবন্ধিত করে স্ব স্ব জেলা কর্মসংস্থান অফিসের সহায়তায় অথবা অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দিতে হবে।

প্রস্তাবে আরো বলা হয়, এই দুর্যোগের সময়ে বিদেশগামী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপরই জাতীয় অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। তারা বিদেশগামী কর্মীদের বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ প্রতিরোধ টিকা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য শ্রমিক প্রেরণকারী দেশগুলো যেভাবে তাদের বিদেশগামী কর্মীদের আভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য টিকা দিচ্ছে, বাংলাদেশকেও এরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। বিদেশগামী কর্মীদের বয়সসীমা সাধারণত ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যেই হয়ে থাকে। সকল বিদেশগামী কর্মীদের কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। জনশক্তি রফতানির খাতটি ক্রমান্বয়ে বিপর্যয়ের দিকে ধাবমান হচ্ছে।

বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে অভিবাসী কর্মী গ্রহণকারী দেশগুলো তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো করোনা টিকা দেয়া ব্যাতীত কোন কর্মী তাদের দেশে প্রবেশে যেকোন সময়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। আগে থেকেই এক ডোজের করোনা টিকা দ্রুত আমদানি করে অভিবাসী প্রত্যাশী কর্মীদের দেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বায়রার সাবেক মহাসচিব স্বপন বলেন, জনশক্তি রফতানির খাতের অবদানেই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। এ খাতের উন্নতি এবং দেশের স্বার্থেই বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শ্রমবাজারের ওপর বড় ধরণের আঘাত আসার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা টিকা

১২ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ