পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাত দিনের মধ্যে অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ফের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অন্যথায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল (সোমবার) সচিবালয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে মন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণ ফি, ভর্তি ফি, মাসিক বেতনসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বেঁধে দেয়া ৭ দিনের সময়সীমার মধ্যে তা ফেরত দিতে হবে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। উক্ত সময়সীমার মধ্যে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে শিক্ষাবোর্ড ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাহিদ বলেন, আদালতের নির্দেশনা, সরকারি আইন-কানুন, নাগরিক সমাজ এ সবই অতিরিক্ত ফি আদায়কারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে গৃহীত মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপের ভিত্তি। আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত না দিয়ে কেউই পার পাবেন না। অতিরিক্ত ফি আদায়কারী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গৃহীত মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপকে সমর্থন দেয়ায় শিক্ষামন্ত্রী দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের সমর্থন মন্ত্রণালয়ের হাতকে আরো শক্তিশালী করবে। শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠকে মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুলতানা কামালের নেতৃত্বে শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীগণ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায়ে উদ্বেগের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন এমন ২৮ জন শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীর কথাও উল্লেখ করেন। অতিরিক্ত স্কুল ফি আদায়ের বিরুদ্ধে বিবৃতি দানকারী বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ, রাশেদা কে চৌধূরী, প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, প্রফেসর মেসবাহ কামাল প্রমুখ। মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর হায়াত মামুদ এবং প্রফেসর এম এম আকাশ। শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।