পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাকিস্তান এশীয় দেশগুলোকে এই অঞ্চলে ‘শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ এড়িয়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়েছে। গত শুক্রবার জাপানে এশিয়ার ভবিষ্যত বিষয়ক ২৬তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, এশিয়া অবশ্যই ‘বাইরের বা অভ্যন্তরীণ উত্তেজনার থিয়েটারে পরিণত হবে না’। তিনি বলেন, ‘এশিয়ার পার্থক্য ও বিরোধের জন্য এশীয় মূল্যবোধ এবং স্বার্থের ভিত্তিতে প্রয়োজন এশীয় সমাধান’।
‘ভারত মহাসাগরসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জাতিসংঘের সনদের নীতিমালা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বান্দুং নীতিমালার কঠোরভাবে মেনে চলার মাধ্যমে শান্তির অঞ্চল, সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্র হওয়া উচিত’।
যদিও তিনি স্পষ্টভাবে এটি উল্লেখ করেননি, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন চারদেশীয় সুরক্ষা সংলাপ গোষ্ঠীটিকে উল্লেখ করছেন যাতে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতও অন্তর্ভুক্ত। কোয়াড নামে পরিচিত এই জোটকে চীন নিজের এবং এই অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচনা করে।
বিশ্বব্যাপী বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এর বাইরেও একীকরণের জন্য’ একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ তৈরি করেছে’।
তিনি আরও যোগ করেন যে, ইসলামাবাদ সমস্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশকে ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের এই মেগাপ্রোজেক্টে বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্ত হওয়ার ও সুবিধা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর আওতায় রাস্তা, রেলপথ এবং পাইপলাইনগুলির একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে চীনের কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলকে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের গোয়েদার বন্দরকে সংযুক্ত করবে।
ইমরান খান তার প্রতিবেশী দেশ ও প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সহ সকল আঞ্চলিক দেশের সাথে শান্তি ও সুসম্পর্কের জন্য পাকিস্তানের ইচ্ছা সম্পর্কেও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ভারত সহ প্রতিবেশী সকলের সাথে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। তবে ভারতকে অবশ্যই অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে এবং ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট গৃহীত একতরফা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি জরুরি যে, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত ও কাশ্মীরের জনগণের ইচ্ছা অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে সংলাপের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করা উচিত।’
এ সময় ফিলিস্তিনের সঙ্কট নিয়ে ইমরান খান বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন ‘সকলের কাছে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের আক্রমণ বন্ধ করতে ও পবিত্র স্থান বিশেষত আল-আকসা মসজিদের অবমাননা রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ন্যায়বিচার ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে।’ সূত্র : একপ্রেস ট্রিবিউন, আনাদোলু এজেন্সী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।