পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৭ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অবস্থায় তিনি হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি করোনামুক্ত হলেও করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোভিড পরবর্তী জটিলতায় খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনি কিছুটা ‘অ্যাফেক্টেড’। এটি এখন উদ্বেগের বিষয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে হাসি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাডামকে (বেগম খালেদা জিয়া) দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমার দেখে একটু ভালো লেগেছে, ভালো লেগেছে যে, আমি তার মুখে একটু হাসি দেখেছি। যেটা এই কদিন ছিল না, একেবারেই ছিল না।
বিএনপি মহাসচিব জানান, চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনির জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বিশেষ করে এই চিকিৎসায় যেখানে সমস্ত ইকুইপমেন্ট আছে সেখানে চিকিৎসা করালে ভালো হয়। কারণ এভারকেয়ারসহ দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সমস্ত ইকুইপমেন্ট নেই।
তিনি বলেন, এই কথা চিকিৎসকরা আগেও বলেছিলেন। এজন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। কারণ সরকারের ভয়, সরকার ভয় পাচ্ছে বেগ জিয়া সুস্থ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন বেশ ভালো, তার টেম্পারেচারটা এখন নেই এবং তার শ্বাসকষ্টও নেই।
তবে কোভিড পরবর্তী জটিলতায় খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনি কিছুটা ‘অ্যাফেক্টেড’ হওয়ায় চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন বলেও জানান। বোর্ডের একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন তার অবস্থা ‘মনিটর’ করে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে আমেরিকা ও ইংল্যান্ড- দুই দেশে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
গত ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন বেগম খালেদা জিয়া। ১১ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফএম সিদ্দকীর নেতৃত্বে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন। ২৭ এপ্রিল তাদের পরামর্শে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন খালেদা জিয়া। ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দুই বছরের অধিক সময় কারাবন্দী থাকার পর গতবছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া। তখন থেকেই তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতে ছিলেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ ছিলো সীমিত।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।