Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা শনাক্ত ৮৫ চীনা নাগরিকের

খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত ১৮৫ জন চীনা নাগরিকের মধ্যে গত এক মাসে ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে ৬৬ জন করোনা পজিটিভ রয়েছেন।
প্লান্টে স্থানীয়ভাবে ৫ থেকে ৬শ’ স্থায়ী শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন আরো ৫ শতাধিক। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্লান্টের সবার মাঝে আতংক বিরাজ করছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে খালিশপুর এলাকাতেও। বিষয়টি তদন্তে গত বৃহস্পতিবার আইইডিসিআর’র খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. হাসনাইন শেখ প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে খালিশপুরস্থ খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে ১৮৫ জন চীনা নাগরিক কাজ করছেন। এক মাসে এখানে মোট ৮৫ জন চীনা নাগরিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধু গত ১৮ মে ৪২ জনের করোনা ধরা পড়ে। ওই দিন মোট ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফলে এই প্রজেক্টে কর্মরত সকলের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, গত এক মাসে (১৮ এপ্রিল থেকে ১৮মে) প্রজেক্টে কর্মরত ৮৫ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জনের ইতোমধ্যে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এখনও ৬৬ জন আক্রান্ত আছে। আক্রান্তরা নিজস্ব হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তারা বিদেশী নাগরিক তাই এমনিতে স্থানীয় মানুষের সাথে তেমন মেলামেশা করেন না। তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত কেউ কাজে অংশ নেননি। তারা ইতোমধ্যে সকলেই করোনা টিকা নিয়েছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খালিশপুরে বিদ্যুৎ প্রজেক্টে কর্মরত করোনা আক্রান্ত চীনা নাগরিকরা নিজস্ব হোম কোয়ারেন্টিনে আছে। এত সংখ্যক চীনা নাগরিক কেন করোনা আক্রান্ত হলো বিষয়টি দেখার জন্য আইইডিসিআর’র খুলনা বিভাগীয় কোড-অর্ডিনেটর তদন্তের জন্য সেখানে গিয়েছেন।
রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. হাসনাইন শেখ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমি প্রজেক্ট পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এখানকার চাইনিজ কমিউনিটিতে ঢুকতে দেওয়া হয়না। যা কথা বলার তা ফোনেই বলতে হয়েছে। আক্রান্তদের শরীরে কোন লক্ষণ নেই। তাদের সকলের করোনার টিকা দেওয়া আছে। তাদের নিজস্ব চিকিৎসকও রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। তাদের সকলের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের সকলের করোনা নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত তারা কোনভাবেই বাইরে বের হতে পারবেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা বিদ্যুৎ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ