Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধান চাইল বাংলাদেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ৮:৪৭ পিএম

শিশু ও নারীসহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতি চেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার এক যৌথ আলোচনায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসসহ অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হলো।

শিশু ও নারীসহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি অসামরিক নাগরিকদের ওপর দখলদার ইসরাইলের বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে পত্র দিয়েছেন মর্মে সাধারণ পরিষদকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিখিত পত্র উদ্বৃত্ত করে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানান এবং ধারাবাহিকভাবে এই অবিবেচনাপ্রসূত সহিংসতার প্রতি ধিক্কার জানান।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং ফিলিস্তিনি সমস্যার ব্যাপক ভিত্তিক, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কিছু অগ্রাধিকার বিষয় তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা; জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদকে তাদের চার্টার অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করা; ‘কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার সংস্কৃতি’ থেকে বেরিয়ে আসা এবং সব ধরনের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জাতিসংঘের রেজুলেশন ২৩৩৪(২০১৬)সহ সংশ্লিষ্ট সব রেজুলেশন ইসরায়েলকে পরিপালন করাতে বাধ্য করা।

এছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সব পক্ষের সঙ্গে জাতিসংঘকে আরও নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

জরুরিভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের মানবিক প্রয়োজনগুলো মেটানোর ব্যাপারে জোর দিয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় সৃষ্ট জাতিসংঘের রিলিফ ফান্ড (আনরুয়া) এর সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

একশরও বেশি জাতিসংঘ সদস্যরাষ্ট্র দিনব্যাপী চলা এই আলোচনায় অংশ নেয়। সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ছাড়াও এতে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি। বক্তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিন সংকটের আশু সমাধানের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হানার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস রকেট ছোড়ে ইসরায়েলে। এর জেরে গত ১০ মে থেকে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়ার আগে টানা ১১ দিনের হামলায় গাজায় ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৬৫ শিশু ও হামাস যোদ্ধা রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে এক হাজার ৯০০ মানুষ। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাস ও অন্য সংগঠনগুলোর রকেটে ১২ জন নিহত হয়। সূত্র : এসএইচএস



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ