পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছরে বিশ্ব খাদ্য পুরষ্কার জিতেছেন ড.শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেড। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় মলা মাছ ও জলজ খাদ্যের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণে অসামান্য অবদান রাখায় তাকে এ সম্মানজনক পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। পুষ্টিবিদ ড. শকুন্তলা গত ১১ মে “খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে নোবেল পুরষ্কার” বলে খ্যাত এ সম্মাননা লাভ করেন। ত্রিনিনাদ ও টোবাগোয় জন্ম নেয়া এবং ডেনমার্কের বাসিন্দা ড. শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেড বর্তমানে ওয়ার্ল্ডফিশের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গ্লোবাল লিড হিসাবে কাজ করছেন। ১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো.আব্দুল ওহাবের সাথে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণার জন্য তিনি পুষ্টিকর ডায়েট হিসেবে ছোট দেশীয় মাছের প্রজাতি হিসেবে বাংলাদেশের মলাকে বেছে নেন। তারপরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রয়েল ভেটেরিনারি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির (বর্তমানে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ) অংশীদারিত্বে তারা গবেষণার মাধম্যে মলা-কার্প পলিকালচার পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। যৌথভাবে তারা পুকুরে বড় মাছের পাশাপাশি ছোটমাছ চাষে বাংলাদেশী ও ডেনমার্কের একদল মেধাবী গবেষকদের যুক্ত করেন। পরবর্তীতে পুষ্টিসমৃদ্ধ মলা মাছ চাষের এ প্রযুক্তিটি তিনি দ্রুত মায়ানমার, নেপাল এবং ভারত, কম্বোডিয়ায়সহ আরো আফ্রিকার কয়েকটি দেশে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
বর্তমানে ইউএসএআইডি-এর অর্থায়িত ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ প্রকল্পের টিম লিডার হিসাবে কর্মরত ড. মো.আব্দুল ওহাব বলেন, গৌরবময় বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার জয়ে আমরা তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই, আমি খুব আনন্দিত যে শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেডের গবেষণার সাথে আমি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।