পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজত ইসলাম নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন কারাবন্দি অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বিকেলে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সোনারগাঁও রিসোর্ট কান্ডের ঘটনার মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি ছিলেন তিনি।
নিহতের মেয়ে মাহবুবা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাবা ইন্তেকাল করেছেন। বাবাকে বিনা অপরাধে ধরে এনে এভাবে মেরে ফেলা হলো। আমাদেরকে সকালে জানানো হয়েছে তিনি খুব অসুস্থ। এখানে এসে আমরা দেখি তিনি ইতোমধ্যে আইসিইউ সাপোর্টে রয়েছেন। তাকে ৩টায় মৃত ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেলা সুপার মাহবুবুল আলম জানান, মাওলানা ইকবাল হোসেন গত ১১ মে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ডাক্তারদের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছিল। মাওলানা ইকবাল হোসেন সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার বাবার নাম আবু সাঈদ। তার স্ত্রী ও ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, ১১ এপ্রিল রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১ এর একটি দল। সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর ও মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টির মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে র্যাব। পরে ১২ এপ্রিল পুলিশ দুই মামলায় তাদের সাতদিন করে রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে পাঠালে আদালত তার এক মামলায় দু’দিন ও আরেক মামলায় একদিনসহ মোট তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আমীরের শোক: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও থানা সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসাইনের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মরহুম ইকবাল হোসাইন ইসলাম ও দেশের পক্ষে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভ‚মিকা রেখেছেন। তিনি খেলাফত প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের একজন সাহসী ও নিবেদিত নেতা ছিলেন। তার ইন্তেকালে আমরা একজন ইসলাম ও দেশের পক্ষে সাহসী সৈনিককে হারালাম। যা অপূরণীয়। তিনি আরো বলেন, পুলিশী হেফাজতে পর্যাপ্ত সুচিকিৎসার অভাবে একজন আলেম এভাবে মৃত্যুবরণ করলো তা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমীর বলেন, গ্রেফতারকৃত আলেমদের মধ্যে যারা অসুস্থ তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন এবং অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে। আমীরে মজলিস শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবদনা জ্ঞাপন করেন এবং আল্লাহর দরবারে মরহুমকে শাহাদাতের মর্যাদা দানের জন্য দোয়া করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।