পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটিতে তার অসাধারণ এক বক্তব্য শুনে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রায় আড়াই মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নড়াইলের ‘ইতনা’ ইউনিয়নে একটি গ্রাম্য সালিশ শেষে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এসময় গ্রামবাসীকে তিনি শপথ করান, ভবিষ্যতে যেন তারা আর কারো কথায় নিজেদের মধ্যে মারামারিতে না জড়ায়।
ওই গ্রাম্য সালিশে পৌছে মাশরাফি বলেন, “আমি এখানে আসতে তিন কিলোমিটার রাস্তা পার করেছি, এই রাস্তা ইটের করা কিন্তু ভাঙা। এই জায়গায় আসলে আপনাদের বলার কথা ছিল, ভাই এই রাস্তাটা একটু ঠিক করে দিয়েন। আসার পথে বৃদ্ধ মহিলা আমার মায়ের বয়সী, পায়ে ধরে পড়তেছে। ঘর দেখলাম ৩-৪টা গোড়া থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কার ইন্ধনে করতেছেন? বলতে পারবেন? তারা আপনাদের কি দেয়? এই ধরেন আমার কথায় আপনারা এইগুলো করতেছেন, ধরে নিলাম। আমি আপনাকে খেতে দেই? পরতে দি? ছেলেমেয়ের পড়াশোনা করাই? হাসপাতালে ভর্তি করাই? তাহলে আমি কিসের নেতা! আমার কথায় আপনি আরেকজনকে মেরে ফেলবেন আপনার ছেলে মেয়ে দেউলিয়া হয়ে যাবে। আপনি যে মামলাটা খাচ্ছেন, পুলিশের কাজ তো পুলিশকে করতেই হবে। ওমুক নেতা ঢাকায় বসে, নড়াইল বসে বলতেছে, মেরে দিয়ে আয়, আপনি মেরে দিলেন! ঝাঁপায় পড়তেছেন। মেরে দিয়ে এসে আপনার কি হলো আপনি বুঝলেন না। আপনাকে তো পুলিশ ধরে নিয়েই যাবে। যে মারতে বলল, সে কি আপনার মামলা লড়ে? কোনদিন লড়ছে? জেল যা খাটার তা তো আপনারাই খাটছেন, নাকি?’
সকলের উদ্দেশ্যে মাশরাফি আরও বলেন, ‘৩০টা রোজা রেখেও ঈদের নামাজ আপনারা পড়তে পারেননি! তা লাভ কী হলো। পুলিশের কাজ, ধরে নিয়ে চলে যাওয়া। এরপর আপনার পরিবার এসবের ভুক্তভোগী হবে। তাদের চুলা জ্বলবে না। আপনাদের সহজ সরল পেয়ে, সব খেয়ে শেষ করে দেবে। সহজ সরল হওয়া ভা, তাই বলে যে যা বলবে তার কথায় ঝাঁপায় পড়া যাবে না। আপনি চিন্তা করবেন না আপনার পরিবারের কথা? আমার একটাই কথা, মারামারি করবেন তো খবর আছে। আমি কিন্তু আপনাদের কথা নিয়ে গেলাম। আর মারামারি করবেন না।’
মাশরাফির এমন বক্তব্যে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অনেকে। ফেসুবকে সুহেল খাঁ লিখেছেন, ‘‘মন থেকে ভালো লাগলো মাশরাফি ভাই। দিন শেষে আমরা ভাই ভাই, এটা বুঝে নিলেই তো আর কোনো প্রতিহিংসা বা প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো সুযোগই থাকেনা। নেতা তো তারাই যারা জনবান্ধব। সবার চিন্তা ধারনা, মন-মানষিকতা পরিবর্তন করলে সমাজ এমনিতেই ভালোর দিকে পরিবর্তন হয়ে যাবে। ধন্যবাদ মাশরাফি ভাই।’’
জামিরুল ইসলাম সেন্টুর মন্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে এরকম মানুষ গুলো থাকলে দেশ উন্নত হতে সময় লাগবে না দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে না, হিংসা হিংসি মারামারি হানাহানি হবে না, আমাদের সোনার বাংলাদেশ আমরা সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারব। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক।’’
তানভীর আহমেদ লিখেছেন, ‘‘সময়ের সঠিক জবাব ভাই, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আপনার মত নেতা সবাই পায় না। নির্দিষ্ট অঞ্চলের যে লোকগুলোর নেতা আপনি তারা নিশ্চয় অনেক ভাগ্যবান। salute boss।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।