পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এখন থেকে শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অধীন সঞ্চয় ব্যুরোর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশ জারির দিন থেকেই তা কার্যকর হয়েছে। এ আদেশের ফলে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র তফসিলি ব্যাংকের শাখা বা ডাকঘর থেকে কেনা যাবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনতে পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরোর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ এর বিধি-৫-এর উপবিধি-৫ ও ৬ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে ওই বিধিমালার বিধি-৩-এ যাই থাকুক না কেন দেশের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এখন থেকে এই নিয়মে চলবে। জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে ৭০টির বেশি সঞ্চয় ব্যুরো আছে। ১৯৭৭ সালে এ সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ও যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। সব শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এ সঞ্চয়পত্র কেনা যায় নাবালকের পক্ষেও।
বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।
প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে কোনো সীমা নির্ধারিত নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের অনুক‚লেও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। এছাড়া মৎস্য ও হাস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে এটি কেনা যাবে।
এর বাইরে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের রয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র। এগুলো আগের মতোই ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।