Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বের ভয়ঙ্কর ব্যাধি প্রতিরোধে একত্রে কাজ করার আহ্বান

গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৯ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক তিনটি সংক্রামক ব্যাধি এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে একত্রে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার কানাডার মন্ট্রিয়েলে অনুষ্ঠিত ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ) রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্সের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধযোগ্য ও এসব রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন অঙ্গীকার, সংকল্প ও সংহতি। একত্রে কাজ করার এই অঙ্গীকার এই ব্যাধির অবসান ঘটাতে পারে। সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানিয়েছেন বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করীম জানান। তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে তার সরকারের প্রচেষ্টায় বৈশ্বিক তহবিলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অবকাঠামো, স্বাস্থ্যপণ্য ও সেবায় বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে আমার সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টায় আমরা বৈশ্বিক তহবিলের সহায়তা আশা করছি।
এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্য প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গ্লোবাল ফান্ড। এই তহবিলের সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী। এর মূল লক্ষ্য বিশ্বের সেইসব এলাকা যেখানে এসব রোগব্যাধি বড় বোঝা হয়ে আছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, টোগোর প্রেসিডেন্ট ফুয়ারে গ্রেন্সিভ, গ্লোবাল তহবিলের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর দাইবাল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফনির মহাসচিব মিখায়েল জেন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং লা ফ্রাঙ্কোফনি বিষয়ক কানাডীয় মন্ত্রী ম্যারেই ক্লদি বিবেউ অধিবেশন পরিচালনা করেন।
উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ দিক’ হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সমাজের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে দারিদ্র্য দূরীকরণের ওপর, খাদ্য নিরাপত্তা এবং এমনকি জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা, সুষম উন্নয়ন সব চ্যালেঞ্জ নির্ভর করে সক্ষম ও টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব আজ উন্নয়ন প্রত্যাশার এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। দারিদ্র্যমুক্ত সবল একটি বিশ্বসমাজ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০১৫ সালে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত লক্ষ্যসমূহসহ এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, গত দুই দশকে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমেছে এবং পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যুহার ৬৬ শতাংশ ও গত দেড় দশকে নবজাতকের মৃত্যুহার ৬২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তার সরকারের কার্যকর নীতি ও বাস্তবসম্মত কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২০ সাল নাগাদ ম্যালেরিয়া নির্মূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গত দু’দশক ধরে এইচআইভি/এইডস প্রাদুর্ভাবের নিম্নহার বজায় রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা ২০০৪ সাল থেকে প্রায় ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করেছি এবং এর মধ্যে ৯৪ শতাংশ রোগীর সফলভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে। আমরা এই সাফল্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে বালিকা ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের যুক্ত করার ক্ষেত্রে তার সরকারের অঙ্গীকার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তিনটি বিষয় চিহ্নিত করেন।
তিনি বলেন, তার সরকার নারীর ক্ষমতায়নের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছে। তিনি বলেন, আমরা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপবৃত্তি চালু করেছি। এর ফলে তাদের স্কুলে উপস্থিতির হারই শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি, নাবালিকা বিয়ে এবং মা ও শিশু মৃত্যুহারও হ্রাস পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত, সহিংসতার ফলে নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। তাই আমরা নারীর বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের সহিংসতা ও বঞ্চনার ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, তৃতীয়ত, তার সরকার দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৬ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এই ক্লিনিকগুলোর কর্মীদের অধিকাংশই নারী এবং এইসব কেন্দ্র থেকে বিনা মূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল ফান্ড বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন সহায়তা করেছে, যা মূলত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা ও এইচআইভি আক্রান্তদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করছে।
এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে উপস্থাপক এবং কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও ফ্রাঙ্কোফোনি বিষয়ক মন্ত্রী মেরির ক্লদ বিবে বলেন, শেখ হাসিনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্তম্ভ।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এইসব মরণঘাতী রোগের মহামারী নির্মূলে তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে পঞ্চম জিবি সম্মেলনের আয়োজন করেছে কানাডা।
আয়োজকদের মতে, এই সম্মেলন বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক তিনটি রোগ এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার মহামারী নির্মূল করতে সারা বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে এই সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ, স্বাস্থ্য ও অর্থমন্ত্রীদের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
আগামী ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মারাত্মক এই তিনটি রোগের কবল থেকে ৮ মিলিয়ন জীবন রক্ষায় ১৩শ’ কোটি মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালের মধ্যে ৩০-৩২ মিলিয়ন জীবন রক্ষায় ৪ হাজার ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে পঞ্চম রিপ্লেনিশমেন্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার ফলে এসব দেশের ২৯ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক সাশ্রয় হবে।
এই বিনিয়োগ লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য বিশেষ করে গরীব দেশগুলোর নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
পিয়েরে ট্রুডোকে দেয়া ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ হস্তান্তর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে অ্যালিওট ট্রুডোকে মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গত শুক্রবার মন্ট্রিয়েলে হায়াত রিজেন্সি হোটেলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ হস্তান্তর করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন ও এতে বিশেষ অবদান রাখায় কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে বাংলাদেশ সরকার এই সম্মাননা প্রদান করে।
এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, সম্মাননা প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে কয়েকজন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন পিয়েরে ট্রুডো তার মধ্যে অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কয়েকটি দেশ প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় তার মধ্যে কানাডা অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের সময় পিয়েরে ট্রুডো আন্তজার্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ পক্ষে দৃঢ়ভাবে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিয়েরে ট্রুডো কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যলাভের জন্য খোলাখুলিভাবে সমর্থন দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, পিয়েরে ট্রুডোর পুত্র ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমরা উভয়ে সেকেন্ড জেনারেশন। আপনার পিতা ও আমার পিতা উভয়েই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি জানান, সম্মাননা প্রদানকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর পিতার বন্ধুত্বের সম্পর্ককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রধানমন্ত্রী তার কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং বন্ধু রাষ্ট্র কানাডার উন্নয়ন-সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। শেখ হাসিনা কানাডার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ : কানাডিয়ান মন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ।
কানাডার এই মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় তার (শেখ হাসিনা) উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। গত শুক্রবার এখানে ‘ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেনন্স’-এ সঞ্চালকের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বক্তব্য প্রদানে আহ্বানের সময় মেরি-ক্লড বিবেউ শেখ হাসিনা সম্পর্কে এমন প্রশংসা করেন।
কানাডীয় মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মতো কিছু নেই, যিনি নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।’
মন্ট্রিলের হায়াত রিজেন্সিতে গত শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এই ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, টোগোর প্রেসিডেন্ট ফউরি জিনাসিব, গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর ডাইবুল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফোনির মহাসচিব মিসাইল জেন বক্তব্য রাখেন।
নারীর ক্ষমতায়ন এবং মেয়ে ও নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে সংযুক্তিতে তার সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা তিনটি বিশেষ দিকের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রথমত, নারীর ক্ষমতায়নে তার সরকার মেয়েদের শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে খুবই ক্ষমতাশালী একটি উপাদান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত, সহিংসতা নারীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ ক্ষেত্রে নারীর প্রতি যে কোনো সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য আমরা সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার স্থাপন করেছি। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে গুণগত মানের সেবা দেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বের ভয়ঙ্কর ব্যাধি প্রতিরোধে একত্রে কাজ করার আহ্বান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ