পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, পাকিস্তানী দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশবিরোধী অপকর্মে লিপ্ত। বাংলাদেশের জনগণ নরপশুদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী যেটুকু সম্পর্ক না রাখলেই নয়, শুধু সেটুকু সম্পর্কই রয়েছে তাদের সঙ্গে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে ‘বীরাঙ্গনার আত্মকথন’ প্রামাণ্য গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ২০ বীরাঙ্গনার আত্মকথা নিয়ে প্রকাশিত একাত্তর প্রকাশনীর এই বইটির লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শেখ আব্দুস সালাম ও শিল্পী বেগম।
দালাল আইন বন্ধ করে রাজাকারদের রক্ষা করা, গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দেয়া, জামায়াতের রাজনীতি বৈধ করা ও বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বন্ধে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকার সমালোচনা করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল তিনি (জিয়া) তাদের পুনর্বাসিত করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের না, একজন বিশ্বাসঘাতক ছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যুদ্ধ চলাকালে তিনি (জিয়া) পাকিস্তানের কর্নেল আসলামের সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদান করতেন। আসলাম তাকে লিখেছিলেন, তোমার কাজ ভাল চলছে, চালিয়ে যাও। কখন একজন শত্রু এভাবে চিঠি লিখে; প্রশ্ন করেন হানিফ। আসলে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াও পাকিস্তানী ক্যান্টনমেন্টে যুদ্ধের সময় আরামে দিন কাটিয়েছেন। তিনি যুদ্ধের পক্ষে ছিলেন না, তাই ৪৪ বছর পর তিনি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এটি তিনি মুখ ফসকে বলেননি, তার এ বক্তব্য সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। গত ৪৪ বছরে বীরাঙ্গনারা অবহেলিত ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
গ্রন্থের লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মুনজুরুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থটিতে কোনরকম পরিমার্জনা ছাড়াই বীরাঙ্গনাদের ভেতরের কথা তুলে আনা হয়েছে। এটিই বইটির শক্তিশালী দিক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে নায়ককে খলনায়ক, আর যুদ্ধে যার সামান্য অবদান তাকে মূল নায়ক বানানোর চেষ্টা চলছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে দ্বিধাগ্রস্ত করার যে অপচেষ্টা, তা রোধ করতে বইটি ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় আমরা বীরাঙ্গনাদের রাখিনি। পুরুষতান্ত্রিকতার কারণে তাদের আমরা মর্যাদা দেইনি। এ থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ৪৪ বছরে তাদের জন্য কি করেছি? শোকসভা, আলোচনায় স্মৃতিকাতর হয়েছি। কিন্তু তাদের জীবনের জন্য কিছুই করতে পারিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিকী। আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।