পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা পাকিস্তান থেকে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ভারতকেও অনেক ক্ষেত্রে পেছনে ফেলে দিয়েছি। এটা অনেকের সহ্য হয় না। এই কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একেক সময় একেক ইস্যু তৈরি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বুধবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের মাঝে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালীন দ্বিতীয় পর্যায়ের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনের মাধ্যমে যে কেউ যে কোন তথ্য সরকারের কাছে চাইতে পারে। তথ্য কমিশনের মাধ্যমে শুধু সে তথ্যই তিনি পাবেন না যেটা নন-ডিসক্লোজার আইটেম। এক্ষেত্রে গোপন নথি পাচার অন্যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের মামলার ঘটনায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে যেকোনো তথ্য পেতে হলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়, সে আবেদনের প্রেক্ষিতে যদি মন্ত্রণালয়ে পাওয়া না যায় তাহলে তথ্য কমিশনে আবেদন করা যায়। ২০১৪ সালে তথ্য কমিশন গঠিত হবার পর থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩১টি আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রোজিনা ইসলামের বিষয়ে সাংবাদিকদের আবেগতাড়িতভাবে না দেখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, যেহেতু একটি মামলা হয়েছে তার যাতে সুবিচার হয়, তিনি যাতে ন্যায় বিচার পান, তার প্রতি কোনভাবে যাতে অন্যায় না হয় সেটি আমরা দেখছি, সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। প্রধানমন্ত্রী ও আমি সাংবাদিকদের মান মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেকোন মন্ত্রী বাংলাদেশে দুটি শপথ গ্রহণ করেন, একটি হচ্ছে মন্ত্রী হিসেবে শপথ, অন্যটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষার শপথ, সে শপথ আমাকেও নিতে হয়েছে। যেহেতু আমি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার শপথ গ্রহণ করেছি মন্ত্রিসভায় কোন কিছু আলোচনা হলে সেটি বাইরে বলতে পারি না। যেটি আমাকে বলতে বলা হবে শুধু সেটুকুই বলতে পারব।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি বা অন্য দেশের সাথে চুক্তি যেগুলো বাইরে প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে চুক্তিতে আছে বা সেই দেশের অনুরোধ আছে সেগুলো কখনো বাইরে প্রকাশ করতে পারি না। সেটি সংরক্ষণ করা যেকোন মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে গোপন নথি পাচার অন্যায়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের মান মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে যেকাজগুলো বাংলাদেশে করেছেন সেটি অতুলনীয় ও অভাবনীয়। এক্ষেত্রে রোজিনা ইসলাম যাতে সুবিচার পান সেটি অবশ্যই আমরা নিশ্চিত করবো।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, এখানে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি রোজিনা ইসলাম ফাইল থেকে নিয়েছেন, সেজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব হচ্ছে সেগুলোকে সংরক্ষণ করা। তিনি বলেন, এখানে প্রশ্ন হচ্ছে তিনি সেখানে পাঁচ ঘণ্টা আটক থাকলেন কেন ? এটি নিয়ে সবার মধ্যে প্রশ্ন আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা পাঁচঘণ্টা আটক রাখেননি, একঘণ্টা পরেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। যে বিলম্বটা হয়েছে সেটি কেন হলো পুলিশ খুঁজে বের করবে। এ নিয়ে মামলা হয়েছে, বিষয়টা তদন্তাধীন আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির মাধ্যমে নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে তাকে সেখানে কেউ হেনস্থা করেছিল কিনা? রোজিনা ইসলামের কি অপরাধ ছিল, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারো কোন অপরাধ আছে কিনা বেরিয়ে আসবে। পুলিশও তদন্ত করছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনে শতশত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, প্রায় একশ’র কাছাকাছি শিশুকে হত্যা করা হলো সেটি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি বিবৃতি দিল না। রোজিনা ইসলাম কেন পাঁচ ঘণ্টা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থাকলেন সেটি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে দিল। আরো বেশ কয়েকটি সংগঠন আছে যেগুলো ফিলিস্তিনে এতো অন্যায় হচ্ছে সেটি নিয়ে বিবৃতি দেয়নি। এমনকি জাতিসংঘও কথা বলতে সাতদিন সময় নিয়েছে। কিন্তু রোজিনা ইসলামের বিষয় নিয়ে অনেকেই কথা বলেছে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।