পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অভিনেতা ও পরিচালক ফখরুল হাসান বৈরাগীর কোনো সন্ধান পাচ্ছেন না তাঁর পরিবার। এ ব্যাপারে র্যাব পুলিশের কাছে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো সুখবর পাচ্ছেন না বৈরাগীর স্ত্রী-সন্তানেরা। প্রায় এক মাস ১০ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার তাঁর স্ত্রী রাজিয়া হাসান জানান, গত ৭ আগস্ট থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও রয়েছেন বৈরাগী। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ নেই। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। হজে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেখানে তিনি গিয়েছেন কীনা তাও স্ত্রী, সন্তানরা জানেন না। তবে এ ব্যাপারে থানা পুলিশ কোনো কিছু জানাতে পারেনি।
রাজিয়া হাসান বলেন, ‘গত ৭ আগস্ট সকালে ছেলে সামন্ত হাসান ইসাকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে বাসায় আসেন তিনি। এরপর বাসার দারোয়ানের কাছে গাড়ির চাবি রেখে আবার বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা পুলিশ ও র্যাবের কাছে ঘটনাটি জানিয়েছি। তারা উদ্ধার কিংবা খোঁজ পাওয়ার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করছেন বলে জানালেও সেখান থেকে এখনও কোনো খবর পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে ২৯ বছর সংসার করছি। এ সময়ের মধ্যে কখনোই একবারের জন্যেও না বলে কোথাও যাননি। শুটিং কিংবা ব্যক্তিগত কাজ, সবই জানাতেন। কথা ছিল পরিবারের চার সদস্য মিলে আমরা হজে যাব। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তিনি কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন জানি না। আমি খারাপ কিছু ভাবতে চাই না। আমি চাই তিনি ফিরে আসুক।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে আড়ালে রয়েছেন বৈরাগী। তবে সেটা আড়াল নাকি গুম তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। বৈরাগীর স্ত্রীও এ প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে বিরোধের বিষয়টি তিনি পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন। বিস্তারিত কিছু এখনই বলতে নারাজ। শুধু বলেছেন, বৈরাগী ফিরে না এলে আমি সবকিছু ফাঁস করে দেব।’
রাজিয়া হাসানের কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই ভাই, দুই বোন ও ভাইদের স্ত্রীদের সঙ্গে ফখরুল হাসান বৈরাগীর বিরোধ রয়েছে। এ কারণে হাতিরপুলের নিজ বাসা ছেড়ে সম্প্রতি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন তিনি। মা অসুস্থ সত্ত্বেও ভাই-বোনদের অত্যাচারের কারণে তাকে ছেড়ে আসতে হয়েছে। এজন্য বেশ কিছুদিন বৈরাগী মানসিকভাবে অসুস্থও ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বৈরাগীর স্ত্রী রাজিয়া হাসান বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বৈরাগীর দুই বোন আমার গায়েও হাত তুলেছে। কিন্তু পারিবারিক সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি বেশিদূর এগোতে দিইনি। আমরা নিজেরাই বাসা ছেড়ে দেই। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি।’
ফখরুল হাসান বৈরাগীর গুম কিংবা উধাও হওয়ার পেছনে তার ভাই-বোনদের হাত রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাজিয়া বলেন, ‘এখনই কিছু বলতে চাই না। আমি আরও অপেক্ষা করব। তবে বেশিদিন নয়। যদি আমার স্বামী ফিরে না আসে তাহলে সবকিছু ফাঁস করে দেব।’
কী প্রসঙ্গে কিংবা কার গোপন কথা ফাঁস করবেন রাজিয়া সেটা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নেই। জিডি হয়েছে কিনা তা ডিউটি অফিসার বলতে পারবেন।
পরবর্তীতে ডিউটি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে (রাত ৭টা) তিনি জানান, কলাবাগান থানায় কোনো জিডি হয়নি। তিনি শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করতে বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।