পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস : বাংলাদেশ ক্রিকেটের অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার দায়িত্ব এড়াতে পারেন না বেসরকারী সংস্থা মেঘনা এভিয়েশন। গত শুক্রবার সকালে মেঘনা এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার বাংলাদেশ ক্রিকেটের অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ইনানি নামিয়ে দিয়ে কক্সবাজারের দিকে ফেরার পথে উখিয়ার রেজু খালের মোহনায় বিধ্বস্ত হয়। এতে শাহ আলম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা ঈগলের কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানা গেছে। এ দুর্ঘটনায় পাইলটসহ আরও ৪জন আহত হলেও এসময় হেলিকপ্টারে সাকিব ছিলেন না বলেই তিনি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান। দুর্ঘটনার পর থেকে কথা উঠছে মেঘনা এভিয়েশনের ওই হেলিকপ্টারের ফিটনেস ও পাইলটের বেপরোয়াভাব নিয়ে। বিসিবি’র অজান্তে সাকিবকে গোপনে নড়বড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে আসার ব্যাপারেও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এখন ঢাকা-কক্সবাজার আকাশ পথে প্রতিদিন একাধিক ভাল উড়োজাহাজ যাতায়াত করে থাকে। সাকিব যে কোন এয়ার লাইন্সে কক্সবাজার পৌঁছে, এয়ারপোর্ট থেকে সড়ক পথে ১০/১৫ মিনিটের দূরত্ব ইনানী যেতে পারতেন। এখন মেঘনা এভিয়েশন এই দুর্ঘটনার দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
তবে উখিয়া থানার ওসি’র ভাষ্য মতে, দরজা খুলে সেলফি তুলতে ও ভিডিও করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানাগেছে হেলিকপ্টারটি। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের দুর্ঘটনায় আহত পাইলট শফিকুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, হেলিকপ্টারটি সাকিব আল হাসানকে ইনানির হোটেল সী পার্লে নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে পাইলটের কথা অমান্য করে নিহত শাহ আলমসহ অন্যরা হেলিকপ্টারের দরজা খুলে ছবি তুলছিল ও ভিডিও করছিল। এসময় বাতাসের তারতম্যে ভারসাম্য হারিয়ে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি।
উখিয়া সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল মালেক মিয়া জানান, বর্তমানে উখিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি রয়েছে। মেঘনা এভিয়েশনের লোকজন শনিবার সকালে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মুখ খুলেনি তাদের কেউ।
এদিকে, ক্রিকেট বিশ্বের অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান ইনানির হোটেল সী পার্লে রয়েছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ওই হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার দীপক জানিয়েছেন, সাকিবের নামে হোটেলে কোন রুম বুকিং ছিল না। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাকিব হোটেলে এসেছিলেন। সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে শ্যুটিংয়ের উদ্দেশ্যে টেকনাফের দিকে তাকে চলে যেতে দেখেছেন তিনি। অনেকের মতে, হোটেল থেকে গোপনে সাকিবের চলে যাওয়াও রহস্যজনক।
জানাগেছে, এই ঘটনার পর হোটেলে নিরাপদে থাকা সাকিব কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছিলেন সাকিব। এর পরেও সাকিব ভক্তদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক প্রশ্ন। সাকিব ফের কোন পণ্যের মডেল হচ্ছেন। আবার সাকিব ভক্তদের অনেকে এমনটাও জানতে চাইছেন সাকিব কী এমন বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিতে অনেকটা গোপনে কক্সবাজার এলেন, যেখানে একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনি!
একটি আন্তর্জাতিক ইলেকট্রনিক প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা সাকিবের সফরসঙ্গী মাশরুর হাসানের মতে, ঐ ইলেক্ট্রনিক ব্র্যান্ডের (এই প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের জন্য বাংলাদেশে বেশ পরিচিত) একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিতে নাকি কক্সবাজার আসেন সাকিব। এটুকু নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে মিডিয়া কর্মীদের তিনি অন্য কোনও তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলে জানাগেছে।
জানাগেছে, বিজ্ঞাপন চিত্রের শুটিং করার জন্য সাকিব আল হাসানের কক্সবাজার ভ্রমণ ও পরে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারের বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে বিজ্ঞাপনের জন্য সাকিবের কক্সবাজার আসার বিষয়টি জানা ছিল না বিসিবি’র! এরকমই জানাগেছে বিসিবি সূত্রে। ক্রিকেট ও সাকিবের শুভাকাক্সক্ষীদের মতে, এসব ব্যাপারে এখন নজর দেয়ার সময় এসেছে। ক্রিকেটাররা যাতে এসব ব্যাপারে আরও সতর্ক হয়, বিশেষ করে বিজ্ঞাপন চিত্রের জন্য ভ্রমণ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার ব্যাপারে।
তাদের মতে, ‘ক্রিকেটারদের ভুলে গেলে চলবে না যে, তারা দেশের প্রতিনিধি ও সম্পদ। তাদের সুবিধা-অসুবিধার সাথে দেশের সুনাম জড়িত রয়েছে। সাধারণ নিয়ম মতে, বিসিবি’র আওতাধীন একজন ক্রিকেটার তার নিজস্ব কোনও চুক্তির অধীনে বিজ্ঞাপন বা অন্য কোনও প্রমোশনাল কর্মকা-ে জড়িত হলে তা বিসিবিকে জানানো দরকার। বিসিবি এক্ষেত্রে অন্তত পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকতে পারে বলে জানান তারা’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।