পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানপ্রীত সিংহ আনন্দ
স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে ‘তুলনামূলক স্বল্প সময়ে বেশ দীর্ঘ পথ পরিক্রমণ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক’টি অত্যন্ত আকর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে, যেমনটি বিশ্বে কখনো দেখা যায়নি। মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানপ্রীত সিংহ আনন্দ-এর বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের অংশীদারিত্ব কতিপয় অত্যন্ত আকর্ষণীয় উন্নতি লাভে সহায়তা করেছে যা বিশ্ব কখনো দেখেনি। তিনি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের লিওন বি. জনসন স্কুল অব পাবলিক এফেয়ার্স-এ একাডেমিক লেকচার সেশনে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে এবং সম্ভবত বাতাস আমাদের অনুকূলে রয়েছে। তবে এখনো যাওয়ার যে দীর্ঘ পথ রয়েছে সে ব্যাপারে আমাদের কোনো বিভ্রান্তি নেই।
আনন্দ গত বৃহস্পতিবার ‘দ্য ইউনাইটেড স্টেটস, ইন্ডিয়া এন্ড দ্য ফিউচার অব দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’ শীর্ষক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এই মার্কিন কর্মকর্তা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যার দারিদ্র্য এক-তৃতীয়াংশের নিচে নামিয়ে আনা এবং প্রসূতি ও তাদের শিশুদের বেঁচে থাকার হার অনেক বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা উন্নয়ন বিষয়ক উল্লেখ করেন। আনন্দ আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অবদানের কথা স্বীকার করেন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়ন প্রসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন নাগরিক বলেন, নয়াদিল্লী শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের স্থল সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে এবং বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমা বিষয়ে একটি জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনালের রুলিং মেনে নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।