পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের হার বেড়ে গেলে চাহিদা মেটাতে অন্য ব্যাংক থেকে স্বল্প সময়ের জন্য টাকা ধার করে যে সঙ্কট মেটায় তাকে কলমানি বাজার বলে অভিহিত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যেক ব্যাংকের কাছেই বিপুল অলস অর্থ পড়ে থাকায় কলমানি মার্কেটে সুদের হার স্থিতিশীল রয়েছে। টাকার চাহিদা বেশি থাকলে ধার করতে অধিক সুদ গুনতে হয়। আর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকলে সুদ কম গুনতে হয়। সাধারণত ঈদের আগে ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলন বেড়ে যায়। এ সময় অধিকাংশ ব্যাংকের নগদ টাকার সঙ্কটের কারণে কলমানি মার্কেটে সুদের হারও বাড়ে। তবে গত দু’বছর ধরে কলমানি মার্কেটের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত দুই ঈদে কলমানিতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে লেনদেন হয়েছে। তবে সুদের হার না বাড়লেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই এই বাজারের সুদহার খুব একটা বাড়তে দেখা যায়নি। যার মূল কারণ বর্তমান ব্যাংকিং খাতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার তারল্য রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, দীর্ঘ বিনিয়োগ স্থবিরতায় অধিকাংশ ব্যাংকের কাছেই উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে। এ কারণে ঈদের আগে নগদ টাকার চাহিদা বাড়লেও কলমানিতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ঈদে আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজারে ব্যাংক টু ব্যাংক লেনদেন হয়েছে ৩ থেকে ৪ শতাংশ সুদে। আর ব্যাংক টু নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে। শেষ দিনে ৭ হাজার ২০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
মতিঝিল রূপালী ব্যাংক স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো: নুরুজ্জামান বলেন, ঈদের আগে বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কার্যদিবস। তাই সকাল থেকে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় ছিল সেদিন। দীর্ঘ ছয় দিনের ছুটির কারণে অনেক গ্রাহক নগদ টাকা তুলে রেখেছিলেন। এর স্বাভাবিক দিনের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি লেনদেন হলেও এবার নগদ টাকার সমস্যা নেই। তাই লেনদেনেও কোনো সমস্যা হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকগুলোতে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে।
ফলে ঈদের আগে নগদ টাকার চাহিদা বাড়লেও কোনো সঙ্কট সৃষ্টি হয়নি। তাই কলমানির বাজার স্থিতিশীল ছিল। তারল্য কম থাকলেই কলমানির বাজারে সুদের হার বাড়ে। যেহেতু বাংলাদেশে এখন তারল্য সঙ্কট নেই তাই কলমানির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।