স্বস্তিদায়ক বৃষ্টিপাতের মধ্যদিয়ে মাত্র কয়েকদিন বিরতি দিয়ে দেশের বেশিরভাগ জেলায় আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে-ঘামে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জনজীবন। ঈদের দিন শুক্রবার ও পরদিন শনিবার পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হয়। জনজীবনে আসে স্বস্তি। কিন্তু শনিবার থেকে বৃষ্টির পাশাপাশি তাপদাহে অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে।
আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৬.৪ এবং ২৪.২ ডিগ্রি সে.। দেশের অধিকাংশ জেলায় দিনের বেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রিতে উঠে গেছে।
গেল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় নেত্রকোনায় ৫০ মিলিমিটার। এছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নিকলী, চট্টগ্রাম, স›দ্বীপ, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গলে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ এবং বিক্ষিপ্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি এবং এ সম্পর্কিত পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এরপরের ৫ দিনে সারা দেশে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।