পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বজ্রপাতে দুই দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার ও বৃহস্পতিবার পৃথক পৃথক এলাকায় বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীতে ৪জন, চুয়াডাঙ্গা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও মেহেরপুরে একজন করে।
রাজশাহীর : বাগমারা ও বাঘা উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ মে) বিকাল ৩টার দিকে দুই উপজেলার তিন স্থানে এই চারজনের মৃত্যু হয়। মৃত চারজন হলেন- বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার হাজরাপাড়া মহল্লার নাসির উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন শেখ (৫০), রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া কালাচাঁদপাড়া গ্রামের ইসার আলীর ছেলে মো. বাবু (১৭), একই গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে মো. রনি (২২) এবং বাঘা উপজেলার বাউসা চকরপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩২)। বাগমারার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, বাগমারার দিয়াড় বিলে নিজের জমিতে ধান কাটছিলেন নিজাম। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এদিকে উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার তালতলী এলাকার একটি বাগানে আম পাড়ছিলেন রনি ও বাবু। এ সময় বজ্রপাত হলে তারা মারা যান। এ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাগমারা থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাঘা থানার ওসি জানান, ঝড়বৃষ্টির সময় বাউসা চকরপাড়া গ্রামে জহুরুল বাড়ির পাশে বাগানে আম কুড়াচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে সমির উদ্দিন (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সমির উদ্দিন উপজেলার হারদী গ্রামের থানাপাড়ার মহত আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে ঝড়-বৃষ্টির সময় গ্রামের মাঠে গরু আনতে যান সমির উদ্দিন। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের শিকার হলে ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত কৃষকের নাম মহিউদ্দিন। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত মহিউদ্দিন ওই এলাকায় বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেলা ১১টার দিকে বাড়ির সামনের মাঠ থেকে গরু আনতে যায় মহিউদ্দিন। এ সময় বৃষ্টি বজ্রপাত শুরু হয়। একপর্যায়ে তার শরীর ঝলসে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে রবিউল (১৪) নামে এক কিশোর মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রবিউল ওই এলাকার জহর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিউল বাড়ির গরু সকালে মাঠে ঘাস খেতে দিয়ে আসে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় দুপুরের দিকে সে মাঠ থেকে গরু আনতে যায়। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। পরে স্থায়ীয়রা রবিউলকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর : আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে হংকার গাইন (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হংকার গাইন রায়পুর গ্রামের নিয়াম উদ্দীনের ছেলে। মেহেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বিকেলে ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছিল। ঝড়-বৃষ্টি চলাকালীন হংকার গাইন বাড়ির পাশের মাঠের বাগানে আম কুড়াতে যায়। এসময় আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।