পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোবাইলফোন চুরি করার অভিযোগে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক প্রতিবন্ধীর কিশোর সন্তানকে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার বিচার দাবি ও নিন্দা জানিয়েছেন ওই উপজেলার দক্ষিণ নোয়াগাও গ্রামবাসী।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের নাম সোহাগ। সে ওই গ্রামের মুন্সী বাড়ীর আল-আমীনের পুত্র। জানা যায়, ওই গ্রামের কামারচর মোড়ে জনৈক সজিবের দোকান থেকে একটি মোবাইল ও কিছু নগদ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনার সোহাগ নামে ওই কিশোরকে সন্দেহ করা হয়। পরে গত বুধবার একই গ্রামের মুকবল হোসেনের ছেলে আশিক, মতিন মোল্লার ছেলে রুবেল ও আছমত আলীর ছেলে কামালসহ আরও কয়েকজন মিলে সোহাগকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে একটি গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। সারাদিন সোহাগকে বেঁধে রাখা হয়। ওই সময় নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।
ওইদিনই চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে নজরুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না বলতে এবং কিছুদিন গ্রামের বাইরে থাকার ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহাগকে ছেড়ে দেয় ওই যুবকরা। গত শনিবার নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
নির্যাতিত কিশোর সোহাগের বাবা আল-আমীন বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী অসহায় লোক। ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমার ছেলেকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে নির্যাতন করা হয়েছে আমি এর বিচার চাই। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবহিত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।