পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি মেলেনি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সরকার। খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদনসংক্রান্ত ফাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার অধীনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতটি গতকাল রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে বিকালের সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আইনের বাইরে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদন মঞ্জুর করতে পারছি না। অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য গত বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির সরকারি বাসায় লিখিত আবেদনটি নিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। লিখিত আবেদনটি পাওয়ার পরপরই তা মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে রাতেই পাঠানো হয়।
এরপর এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত গতকাল রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে সেখানে তিনি কী মতামত দিয়েছেন, সেটি বলেননি আইনমন্ত্রী। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে বলে তখন তিনি জানিয়েছিলেন।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরো আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তবে খালেদা জিয়া আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর তিনি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য শনিবার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গতকাল সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ আইনে নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদনের বিষয়ে এমন মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আনিসুল হক বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন পাঠানো হয়েছিল। আইনের ধারা অনুযায়ী তার সে আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে এখন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। তিনি বাসায় থেকে সব ধরনের চিকিৎসা নিতে পারবেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আইন অনুযায়ী দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এ জন্য খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের আবেদন আমরা মঞ্জুর করতে পারিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী, তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি বলে সবাই জানেন। তিনি তাকে খালেদা জিয়া মানবতার তাগিদে, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০১ এর ১ ধারা অনুযায়ী তার দণ্ড স্থগিত করে তার বাসায়, তার সুবিধা মতো চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং বাসায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এভার কেয়ার নামে একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে তার ছোট ভাই আবেদন করেছিলেন, তিনি বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুরোধ আমাদের কাছে করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য সেখানে পাঠিয়েছিলাম। আইন মন্ত্রণালয় থেকে মত এসেছে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে যে সুবিধাটি দেয়া হয়েছে, ৪০১-এ সাজা মওকুফ করে তাকে বিদেশে পাঠানোর অবকাশ দ্বিতীয়বার নেই। তিনি বলেন, শর্ত সাপেক্ষে তার সাজা স্থগিত হয়েছিল যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। বাসা থেকেই চিকিৎসা নেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।