পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর একেবারেই সন্নিকটে। ঈদের আগে আর মাত্র দুদিন ব্যাংকে লেনদেন হবে। তাই প্রয়োজনীয় লেনদেন সারতে গতকাল রোববার ব্যাংকে ব্যাংকে ছিল গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। টাকা তোলা ও জমা দিতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেছেন গ্রাহকরা। ব্যস্ত সময় পার করেছে ব্যাংকাররাও। গতকাল রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখাগুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যাংকগুলোতে সকাল থেকেই ক্যাশ কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেছে। লেনদেনের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন সেবার বিল জমা দেয়ার লাইনও ছিল চোখে পড়ার মতো। অতিরিক্ত গ্রাহকের চাপে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তাদের বেশ চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে। অনেক জায়গায় পড়তে হয়েছে সার্ভার সমস্যায়ও।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মো আব্দুল ওয়াহাব জানান, সকাল থেকেই গ্রাহকের অনেক ভিড়। স্বাভাবিক দিনের চেয়ে প্রায় তিন-গুণ বেশি লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গ্রাহক টাকা উত্তোলন বেশি করেছে। ঈদে লোকজন গ্রামে টাকা পাঠাবে আবার অনেকে কর্মীদের বেতন বোনাস দেবে। সবমিলিয়ে, ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীক ও নিজস্ব প্রয়োজনে টাকা উত্তোলন করছে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে ডিপোজিটের অর্থ জমা করছেন। বিভিন্ন বিলও জমা দিয়েছেন অনেকে। তিনি বলেন, সবমিলিয়ে সকাল থেকে বাড়তি গ্রাহককে সেবা দিতে আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা হিমশিম খাচ্ছেন। তবে নগদ টাকার কোনো সমস্যা নেই। গ্রাহকের চাহিদামতো টাকা দেয়া হচ্ছে।
মতিঝিল ডাচ বাংলা ব্যাংকের সগির আহমেদ বলেন, সময় যত গড়াচ্ছে, গ্রাহকের চাপ ততই বাড়ছে। তিনি বলেন, অধিকাংশ গ্রাহকই এসেছেন টাকা তোলার জন্য। সকাল থেকেই গ্রাহকদের প্রচন্ড চাপ ছিল বলে জানান তিনি। এদিকে শুধু রাজধানীর মতিঝিল নয়, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে এটিএম বুথগুলোতেও। মতিঝিল এলাকার বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহক রহমত আলী বলেন, সকাল ১০টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ১১টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি। ঈদের কেনাকাটা করার জন্য ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছি। এদিকে ঈদ যে দিনই হোক, আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ মে ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের কথা চিন্তা করে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার ব্যাংক খোলা থাকবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের রেওয়াজ হলো, ঈদের আগের দিন ব্যাংক বন্ধ থাকে। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম হয়েছে। ঈদ বৃহস্পতিবার হলেও তার আগের দিন বুধবার ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে ঈদের আগে আরও দুই দিন মঙ্গলবার ও বুধবার ব্যাংক খোলা থাকছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাছের বলেন, সোমবার পবিত্র শবে কদরের জন্য ব্যাংক বন্ধ থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার ব্যাংক খোলা। তবে ১৪ মে যদি ঈদ হয়, সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার কেবল পোশাক শিল্প ও রফতানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন হয় এমন সব ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে।
এদিকে ঈদের আগে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এবং রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংক শাখা ১০ মে এবং ১৪ মে ঈদ সাপেক্ষে ১৩ মে খোলা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।