পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গতবারের মতো এবারো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের নির্দেশনায় সাড়া দেয়নি কেউ। ফলে দুই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলোতে দেখা মেলেনি কোরবানির পশুর। বরং তারা বাসার নিচের গ্যারেজ, খালি জায়গা, রাস্তা ও গলিতেও কোরবানি দিয়েছেন। একই অবস্থা হয়েছে দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে। গোশত-চামড়ার নিরাপত্তা, গোশত বহনে পরিবহন সমস্যা, চামড়ার সংগ্রহকারী মাস্তানদের উপদ্রব, পাবিবারিকভাবে কোরবানি করতে না পারার আনন্দ থেকে বঞ্চিত ইত্যাদি দুর্ভোগের কারণে কোরবানিদাতারা নিজ আঙ্গিনায় কোরবানি করেছেন।
রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, কমলাপুর, খিলগাঁও, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, সেগুনবাগিচা, আজিমপুর, সাতমসজিদ রোড, ফার্মগেট এলাকায় দেখা যায়, এলাকাগুলোর বেশির ভাগ ‘নির্ধারিত’ স্থানে কোরবানির পশু জবাই হয়নি বললেই চলে। মগবাজারের মধুবাগ মাঠ ছিল কোরবানি করার নির্ধারিত জায়গা। সকাল থেকে সেখানেও কেউ গরু কোরবানি দিতে আসেনি।
আজিমপুর এলাকায় কোরবানির নির্ধারিত স্থান হচ্ছে, আজিমপুর কলোনির ভেতর বিভিন্ন খেলার মাঠ, পলাশী আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারের খোলা জায়গা, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদসংলগ্ন আজিমপুর জনকল্যাণ সমিতির অফিস, আজিমপুর গার্লস সরকারি স্কুল ও কলেজের ভেতরে মাঠে কোরবানি করতে দেখা যায়নি।
রাজধানীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি এলাকায় নির্ধারিত স্থানে কাউকে কোরবানি দিতে কাউকে দেখা যায়নি। দুপুর পর্যন্ত এখানে কেউ আসেনি।
রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই হয়নি।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, মহাখালী, উত্তরা, সেগুনবাগিচা, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্রই দেখা গেছে। বনানী ২৭ খেলার মাঠে বনানীবাসীর কোরবানির স্থান নির্ধারণ করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে করপোরেশনের লোক বসে আছেন। আছে প্রয়োজনীয় প্যান্ডেলও। কিন্তু কোনো গরু ও কোরবানির ছাগল নেই সেখানে। অথচ একটু দূরেই কোরবানি হচ্ছে রাস্তার ওপরে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহীম জানালেন, সকল প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কেউই এখানে আসেননি।
উত্তর সিটির মেয়রের নিজ এলাকা পুরো বনানী আবাসিক এলাকা জুড়েই ছিল একই চিত্র। গুলশানবাসীর জন্য নির্ধারিত গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের মাঠে কোনো পশু জবাই হয়নি।
এ বিষয়ে ওলামালীগ নেতারা বলেন, ২য় বারের মতো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে নগরবাসী। এবারো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির সিদ্ধন্তে সাড়া দেয়নি নগরবাসী। নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সাড়া মেলেনি। অথচ পূজার সময় রাস্তাঘাট যত্রতত্র যখন হিন্দুদের পূজাম-প করা হয়, তখন কোন ব্যবস্থা অথবা সিদ্ধান্তও নেয়া হয় না। তাই কোরবানিদাতাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ওলামালীগ নির্দিষ্ট স্থান প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। কোরবানিদাতাগণ নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করতে না আসায় ওলামালীগের দাবীরই প্রতিফলন ঘটেছে। ভবিষ্যতে এরকম অযৌক্তিক ও হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের ভাবমর্যাদাকে ক্ষুণœ করা না হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।