Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪, ২ শ্রাবন ১৪৩১, ১০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভারত থেকে আসা ১৯ হাজার টন নিম্নমানের চাল খালাস বন্ধ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ভারত থেকে আমদানি করা নিম্নমানের ১৯ হাজার মেট্রিক টন চাল খালাস বন্ধ করে দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন এসব চাল শুধু নিম্নমানের নয় খাওয়ার অযোগ্যও। টাকা দিয়ে কেনা এমন চাল আদৌ গ্রহণ করা হবে কি না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে খাদ্য অধিদফতর ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। খালাস বন্ধ করে দেয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে ড্রাগন নামে চাল বোঝাই জাহাজটি গতকাল রোববার বর্হিনোঙরে ফিরে গেছে।
দেশে চাল সঙ্কটের কারণে সরকার ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম থেকে সাত লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়। জিটুজি ও আন্তর্জাতিক টেন্ডারে আমদানি করা হচ্ছে এসব চাল। চট্টগ্রাম বন্দরসহ কয়েকটি স্থল ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে এসব চাল বাংলাদেশে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ইতোমধ্যে প্রায় দুই লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। গত ৪ মে ভারত থেকে ১৯ হাজার একশ মেট্রিক টন চাল নিয়ে ড্রাগন নামে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। বন্দর ও কাস্টমস কার্যক্রম শেষ করে ৭ মে জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভিড়ে। এরপর শুরু হয় আমদানি করা চাল খালাস।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানায়, খালাসকালে দেখা যায় জাহাজের উপরের অংশে থাকা বস্তায় কিছু চাল ভাল থাকলেও নিচের দিকে সব বস্তার চাল নিম্নমানের। অত্যধিক ভাঙা এবং দুর্গন্ধযুক্ত এসব চাল খাওয়ার অনুপযুক্ত বলে জানান খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বিষয়টি জানার পর তারা জাহাজে গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে চালের বেহাল অবস্থা দেখে শনিবার সন্ধ্যায় চাল খালাস বন্ধ করে দেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ ভাল চাল ছাড়া এমন চাল তারা গ্রহণ করতে পারবেন না। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর সেখান থেকে চালের নমুনা নিয়ে খাদ্য বিভাগের সদরঘাটস্থ নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চাল খালাসের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু ভারতীয় চাল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান চাতুরির আশ্রয় নেন। জাহাজের উপরের অংশের বস্তাগুলোতে ভাল চাল রেখে নিচের বেশিরভাগ বস্তায় অত্যধিক ভাঙা খাওয়ার অযোগ্য নিম্নমানের চাল দিয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈম মো. শফিউল আলম ইনকিলাবকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা জাহাজটির চাল নিম্নমানের। বেশিরভাগ বস্তার চাল অত্যধিক ভাঙা। উপরের বস্তার চাল ভাল হলেও নীচের বস্তার চালের মান খুবই খারাপ। বিষয়টি দেখার পর আমরা চাল খালাস বন্ধ করে দিয়েছি। এমন চাল গ্রহণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় তা আমরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্টকে জানিয়েছি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক খাদ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা আসবে সে আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাল

১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ