পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্যত্র নিহত আরো ১২
ইনকিলাব ডেস্ক : গতকাল বি.বাড়িয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৮ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পৃথক ঘটনায় টাঙ্গাইলে ৫, মাদারীপুরে ৪, পটিয়ায় ১, গোবিন্দগঞ্জে ১ ও বরিশালে ১ জন নিহত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বরসহ একই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে উপজেলার শশই নামক স্থানে সিলেট গামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৮৫১) এর সাথে মৌলভী বাজার থেকে আসা বরযাত্রীবাহী নোহা মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রোÑচ-১৩-৯২২৬) এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসে থাকা বরযাত্রীসহ ৭জন মারা যায়। গুরুতর আহত অজ্ঞাত একজন জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। নিহতরা হলেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার রূপসপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, তার দুই ছেলে মোঃ কামরান ও আবু সুফিয়ান, আত্মীয় আলী হোসেন, মুর্শিদুর রহমান, মুক্তার মিয়া ও আব্দুল হান্নান, অজ্ঞাত পুরুষ (৪৫)। গুরুতর আহত তারেকুল ইসলাম ও অজ্ঞাত এক যুবককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের স্বজন ফয়সাল আহমেদ জানান, আবু সুফিয়ানের বিয়ে উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে তারা সবাই ব্রহ্মণবাড়িয়া আসছিলেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকায় সিলেটগামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসেরর সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের আট আরোহী মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালিহাতিতে নিহত ৫
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পুংলি নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ৫ জন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, রংপুর জেলার লালমনিহাটের আসমা বেগম (২৫), মমিনুল ইসলাম (৪০) ও হাবিব (১২)। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঢাকা থেকে রংপুর লালমনিহাটগামী একটি যাত্রীবাহী বাস টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পুংলি নামক স্থানে শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত ও অন্তত ২৬ জন আহত হয়। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যু হয়।
রাজৈরে নিহত ৪ : আহত ১০
মাদারীপুর জেলা ও রাজৈর উপজেলা সংবাদদাতা জানান,
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বড় ব্রীজ নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মাহেন্দ্র পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন যাত্রীর অবস্থা গুরুতর। এ সময় প্রায় ১ ঘন্টা মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়, পুলিশ, হাসপাতাল ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার বড় ব্রীজ নামক স্থানে রাজৈর থেকে ছেড়ে আসা মাহিন্দ্রের সাথে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী সমুদ্র সৈকত (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-০৩৬০) নামের একটি পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মাহিন্দ্রের চালক সদর উপজেলার শ্রীনদী গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন (৩৫) ও যাত্রী রাজৈর উপজেলার সানেরপাড় গ্রামের বেলাল শেখ (৫০) মারা যায় এবং রাজৈর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদারীপুরের শিরখারা গ্রামের মোয়াজ্জেমের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫) মারা যায়। এদিকে ফরিদপুর মেডিক্যালে নেয়ার পথে মেরিনা আক্তার (২৭) মারা যান।
এছাড়াও আরো ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রিয়া (১৪) নামের যাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও মারাত্মক আহত টিটু (৩৫), মিশাদ (৮), জাহানারা বেগম (৪৫) কে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পটিয়ায় নিহত-১ঃ আহত-৩০
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা জানান,
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের পটিয়া আমজুর হাট এলাকায় সৌদিয়া বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালক মো: আবদুল মোনাফ (২৬) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছে। নিহত চালক আবদুল মোনাফ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চা বাগান এলাকার আমির হামজার পুত্র।
এ ঘটনায় উভয় যানবাহনের ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৫জন যাত্রীকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যায়।
গোবিন্দগঞ্জে নিহত ১ আহত ৩০
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান,
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিয়ের বরযাত্রীবাহী বাস উল্টে এক যুবক নিহত ও ৩০জন আহত হয়েছে।
জানাগেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় কানিপাড়া থেকে একটি বরযাত্রীবাহী বাস পার্শ্ববর্তী কোচাশহর ইউনিয়নের কানাইপাড়া যাওয়ার সময় খোর্দ্দগোপালপুর নামকস্থানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় বরযাত্রীবাহী বাসটি রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। ফলে বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই শিবপুর ইউনিয়নের নামাচরপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের পুত্র আনিসুর রহমান গুল্টু (২৫) নামক এক যুবক নিহত সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। ঘটনার পর পরই স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাড়ালে ভর্তি করেছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ঈদে ঢাকা থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের নিয়ে একটি টাউন সার্ভিস বাস ঢাকা মেট্রো- জ-১৪-০৮৭১ মহিমাগঞ্জে আসে। পরবর্তীতে ঢাকা গামী যাত্রীদের জন্য বাসটি মহিমাগঞ্জে অবস্থান করছিল। বাড়তি টাকা আয়ের জন্য বাসের হেলপার ওই বিয়ের যাত্রীবহনের কাজ করছিল।
বরিশালে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল-ফরিদপুরÑঢাকা মহাসড়কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসের চাপায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই ঘাতক চালক বাসটি রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিমানবন্দর থানা জানায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী আজমিরী পরিবহন নামক একটি বাস অজ্ঞাত সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ঘটনার পর পরই চালক ও অন্য কর্মচারীরা বাসটি রেখে পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।